কক্সবাজার আলো ডেস্ক :
খুলনায় আযান দেয়ার সময় বিদ্যুৎ সৃষ্ট হয়ে মসজিদের মধ্যেই মাওলানা মো. শাহনুর আলম (৩০) নামের এক মুয়াজ্জিনের মৃত্যু হয়েছে। আযানের শেষ শব্দটি উচ্চারণ করতে পারলেন না তিনি। শুক্রবার জুমার আযান দিতে গিয়ে নগরীর ধর্মসভা মসজিদে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় আরও এক মুসল্লী বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হন। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মুসল্লী মো. মোজাম গাজী জানান, শুক্রবার ধর্মসভা মসজিদের মুয়াজ্জিন মাওলানা মো. শাহনুর আলম জুম্মার নামাজের আযান দেয়ার প্রস্তুতি নেন। কিন্তু ওই সময় বিদ্যুৎ না থাকায় তিনি আইপিএস চালিয়ে আযান শুরু করেন। আযান শেষ হওয়ার আগেই বিদ্যুৎ চলে আসে। এ সময় বিদ্যুতায়িত মাইক্রোফোনে হাতের স্পর্শ লাগার সঙ্গে সঙ্গেই তাকে ঝাকি দিয়ে উল্টে ফেলে দেয়। মুয়াজ্জিন মাথা ঘুরে পড়ে গেছেন মনে করে তাকে উঠাতে গিয়ে তিনিও বিদ্যুৎ সৃষ্ট হন। কিন্তু কোন রকমে বেঁচে ওঠেই তিনি ইমামসহ অন্যদের খবর দেন। ততক্ষণে মুয়াজ্জিন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
মুসল্লিরা জানান, নিহত মুয়াজ্জিন মাওলানা মো. শাহনুর আলম দীর্ঘ ৭ বছর ধরে এ মজিদের খাদেম কাম মুয়াজ্জিন হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি খুলনা আলিয়া মাদ্রাসা থেকে কামিল পাশ করে খুলনা দারুল উলুম মাদ্রাসায় অধ্যয়ন করছিলেন। মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মো. হারুণ-অর-রশীদ জানান, মসজিদের নির্মান কাজ চলায় আপাতত: কেসিসি’র নিয়ন্ত্রনাধীন গোলকমনি শিশু পার্কের মধ্যে অস্থায়ী ভাবে কাঁচা ঘরে নামাজ হচ্ছে। কিন্তু সেখানে আযান দেওয়া মাইক্রোফোন কিভাবে বিদ্যুতায়িত হয়েছে- তা বোঝা যায়নি। ফলে দুর্ঘটনা ঘটে গেছে। তিনি জানান, মুয়াজ্জিন মাওলানা মো. শাহনুর আলম খুলনার কয়রা উপজেলার উত্তর বেদকাশি গ্রামের মোল্লা ওলিউল্লাহ’র একমাত্র ছেলে। যানাজা শেষে তার লাশ গ্রামের বাড়ি নেয়ার প্রস্তুতি চলছে।