অনলাইন ডেস্ক : ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রার একটি আবাসিক এলাকায় সামরিক বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা শতাধিক ছাড়িয়ে গেছে। ইতোমধ্যে ধ্বংসাবশেষ থেকে ৪৯ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
সুমাত্রার মেদান শহরে মঙ্গলবার দেশটির বিমান বাহিনীর সি-১৩০ হারকিউলিস বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। বিমানটিতে ১২ ক্রু ও ১০১ যাত্রীসহ মোট ১১৩ আরোহী ছিল বলে জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র।
স্থানীয় মেট্রো টেলিভিশনে এয়ার মার্শাল আগুস সুপ্রিয়ান্তা বলেন, ‘মনে হচ্ছে বিমানটির কোনো আরোহীই বেঁচে নেই।’
মেদানের পুলিশপ্রধান মারদিয়াজ দুইহানান্তো জানিয়েছেন, ধ্বংসাবশেষ থেকে বেশ কিছু লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও সব লাশ সরানো সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় একটি রেডিও জানিয়েছে, বিমানটি বেশ কয়েকটি বাড়ির উপর বিধ্বস্ত হয়। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দু’টি বাড়ি ও একটি কারের উপর আছড়ে পড়ে বিমানটির ধ্বংসাবশেষ।
এ ঘটনায় আবাসিক এলাকার কোনো বাসিন্দা হতাহত হয়েছেন কি না— তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ইন্দোনেশীয় সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ফুয়াদ বাসিয়া জানান, স্থানীয় সময় দুপুরের দিকে সামরিক সরঞ্জামসহ মেদেনের বিমান বাহিনীর ঘাঁটি থেকে উড্ডয়ন করে বিমানটি। ঘাঁটিটির ৫ কিলোমিটার দূরেই এটি বিধ্বস্ত হয়।
এ নিয়ে গত ১০ বছরে মেদানে দ্বিতীয়বারের মত বিমান বিধ্বস্ত হলো।
২০০৫ সালের সেপ্টেম্বরে মান্দালা এয়ারলাইন্সের একটি বোয়িং ৭৩৭ বিমান মেদানের পলোনিয়া বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই মেদানের একটি জনাকীর্ণ আবাসিক এলাকায় বিধ্বস্ত হয়। এতে নীচের ৩০ জনসহ ১৪৩ জন নিহত হয়।
সূত্র: আলজাজিরা