কক্সবাজার আলো ডেস্ক :
কৃষি উৎপাদন বাড়াতে সরকার ডিজিটাল প্রযুক্তিকে কাজে লাগাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত আন্তর্জাতিক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত হন শেখ হাসিনা।
৪৬টি দেশের ২৫৫ জন বিদেশি প্রতিনিধিসহ বাংলাদেশের সকল জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার এবং সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় এই আন্তর্জাতিক সেমিনার।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা দুর্যোগে খাদ্য উৎপাদনে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে সরকার। কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে নেয়া হয়েছে নানা পদক্ষেপ। উৎপাদনে কৃষক যাতে উৎসাহ না হারায় সেজন্য প্রণোদনা দেয়াসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে প্রতিটি ঘরে খাবার পৌঁছে দিতে সরকার বদ্ধপরিকর এমন মন্তব্য করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ক্ষমতায় এসে খাদ্য সংকটের দেশকে খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে পরিণত করেছে আওয়ামী লীগ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাকালে মানুষ যেন কষ্ট না পায় সেদিকে লক্ষ্য করে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। সরকার খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে।
সরকার জাতীয় কৃষি সম্প্রসারণ নীতি প্রণয়ন এবং এবং জিডিপির ৪ শতাংশ প্রণোদনা দেয়ার কারণে কৃষকরাই বেশি লাভবান হয়েছেন বলে অনুষ্ঠানে জানান শেখ হাসিনা।
‘মানুষ যেন খাদ্য পায়, আশ্রয় পায় ও উন্নত জীবনের অধিকারী হয়, এ লক্ষ্য নিয়েই আমরা জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে কাজ করছি। জাতির পিতার একমাত্র লক্ষ্য ছিল দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করা ও দেশবাসীর জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। তিনি মনে করতেন, দেশের এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি রাখা যাবে না। আমরাও দেশের প্রতি ইঞ্চি জমি আবাদ করে কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি।’-যোগ করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।
কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘ভূখণ্ডের দিক থেকে আমাদের দেশ খুবই ছোট। অপরদিকে, আমাদের জনসংখ্যা প্রায় ১৭ কোটির কাছাকাছি। এসব মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা দেওয়াটাই আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমাদের কর্মসূচি নিতে হচ্ছে, যাতে খাদ্য উৎপাদন বাড়ানো যায়। আমরা খাদ্য ঘাটতির দেশে খাদ্য উৎপাদন করে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি। এটা সম্ভব হয়েছে আমাদের কৃষিবান্ধব কর্মসূচির কারণে।’
এ সময় নোবেল শান্তি পুরস্কার অর্জনের জন্য বিশ্ব খাদ্য সংস্থাকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।