‘শিক্ষা জাতির মেরুদ-’ আর ‘শিক্ষকরা হচ্ছেন মানুষ গড়ার কারিগর’। মেধা-শ্রম দিয়ে যারা নতুন প্রজন্মকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তোলেন সেই শিক্ষকদের বঞ্চিত করে অষ্টম জাতীয় বেতন স্কেল ঘোষণা করা হয়েছে। অর্থমন্ত্রী নতুন স্কেলে বেতন কার্যকরের ঘোষণা দিয়েছেন। এ ঘোষণায় আমলা, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা খুশি হলেও দ্রোহের আগুনে ফুঁসছেন শিক্ষক সমাজ। উত্তপ্ত হয়ে উঠছে শিক্ষাঙ্গন। কারণ, ৩১৭টি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ৩টি মাদরাসার ৯/১০ হাজার শিক্ষককে নতুন বেতন স্কেলে অন্তর্ভুক্ত করা হলেও প্রায় ৩৩ হাজার বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৬ লাখ এবং ১৭ হাজার মাদরাসার ৩ লাখ শিক্ষককে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। বিক্ষুব্ধ শিক্ষকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বেসরকারি শিক্ষক সংগঠনগুলোর নেতারা তীব্র ক্ষোভ ও হতাশা ব্যক্ত বলেছেন, নতুন জাতীয় গেজেটে পেশাজীবীদের সর্ববৃহৎ অংশকে উপেক্ষা করা হয়েছে। অবিলম্বে বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন স্কেলে অন্তর্ভুক্ত করা না হলে শিক্ষকরা আবারো রাজপথে নামতে বাধ্য হবে। নতুন জাতীয় বেতন স্কেলে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের অন্তর্ভুক্তি না থাকায় হতাশ হয়ে পড়েছেন তারা। হতাশা আর ক্ষোভে ফুঁসে উঠছে বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষক সমাজ। দেশের বৃহৎ পেশাজীবী শিক্ষক সমাজকে উপেক্ষা করে প্রকাশিত গেজেট প্রত্যাখ্যান করেছেন শিক্ষক নেতারা। শিক্ষকদের বেতন স্কেলে অন্তর্ভুক্তির কথা বলে চূড়ান্ত গেজেটে বাদ দেয়ার কারণে দ্রুত কর্মসূচি দিয়ে রাজপথে নামারও প্রস্তুতি নিচ্ছেন শিক্ষকরা। তারা বলেন, ১৯৮০ সালে জাতীয় বেতন স্কেলে অন্তর্ভুক্তির পর থেকে কোন বেতন স্কেলে বাদ পড়েনি শিক্ষকরা। এবারও সরকার ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কথা দেয়া হয়েছিল শিক্ষকরা বেতন স্কেলে অন্তর্ভুক্ত থাকবে। গত মঙ্গলবার রাতে অষ্টম জাতীয় বেতন স্কেলের গেজেট প্রকাশিত হয়েছে। এ গেজেটে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এতে তারা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মতো পে-স্কেল বাস্তবায়নের দিন থেকে বেতনভাতা পাচ্ছেন না। অর্থাৎ এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা আগের বেতনক্রম অনুসারেই আগামী (ডিসেম্বর ’১৫) মাসের বেতন-ভাতা পাবেন। আর সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ডিসেম্বর মাসের বেতন পাবেন নতুন বেতন স্কেল অনুসারে। যেখানে সারাদেশের ৩১৭টি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৯ থেকে ১০ হাজার শিক্ষককে বেতন স্কেলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সেখানে শিক্ষকদের বড় অংশ অর্থাৎ প্রায় ৩৩ হাজার বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছয় লাখ শিক্ষককে বাদ দেয়া হয়েছে। একইভাবে তিনটি সরকারি মাদরাসাকে অন্তর্ভুক্ত করা হলেও বাদ দেয়া হয়েছে প্রায় ১৭ হাজার মাদরাসার ৩ লাখ শিক্ষককে। অথচ এমডিজি (মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল) অর্জন, শতভাগ সাক্ষরতার হার, পাসের হার, সরকারি বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন, নির্বাচনে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় দায়িত্বপালনসহ নানা কাজেই এই বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরাই দায়িত্ব পালন করে থাকে। এ ব্যাপারে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয় পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত দেবে, এরপর অর্থ বিভাগ এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য আগামী রোববার মন্ত্রণালয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ওই বৈঠকেই জানা যাবে শিক্ষকদের বিষয়ে কি করা হবে। এছাড়া আগামী মন্ত্রীসভা বৈঠকেও শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এবিষয়টি উত্থাপন করবেন বলে জানা যায়। তবে বেতন স্কেলের প্রজ্ঞাপন প্রকাশের পর থেকেই বেসরকারি শিক্ষক সংগঠনগুলো তীব্র ক্ষোভ ও হতাশা ব্যক্ত করেছে। শিক্ষক নেতারা বলেছেন, একটি জাতীয় গেজেটে পেশাজীবীদের সর্ববৃহৎ অংশকে উপেক্ষা করা হয়েছে। প্রকাশিত গেজেটে বেসরকারি শিক্ষকদের সম্পর্কে একটি শব্দও যুক্ত করা হয়নি। অথচ এ অংশটি ৮০ সাল থেকেই জাতীয় বেতনকাঠামোতে যুক্ত ছিল। এখন শর্তারোপ বা বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আয় সরকারি কোষাগারে দেয়ার কথা বলা হচ্ছে। এতে কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু বেসরকারি শিক্ষকদের এবং সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সব দায় সরকারকে নিতে হবে। শিক্ষক নেতারা বলেন, কোনো প্রকার শর্ত ছাড়াই অবিলম্বে বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন স্কেলে অন্তর্ভুক্ত করা না হলে শিক্ষকরা আবারো রাজপথে নামতে বাধ্য হবে। বাংলাদেশ অধ্যক্ষ পরিষদ-বিপিসি সভাপতি প্রবীণ শিক্ষক নেতা এবং ৮০ সালে বেতন স্কেলে অন্তর্ভুক্তির প্রথম আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক অধ্যক্ষ মাজহারুল হান্নান বলেন, বেসরকারি শিক্ষকরা ৮০ সাল থেকে পে-স্কেলে অন্তর্ভুক্ত হয়ে আসছে। অথচ এবারই প্রথম পে-স্কেলের গেজেটে বেসরকারি শিক্ষকদের সম্পর্কে একটি শব্দও যুক্ত করা হয়নি। এটি হতাশাজনকই শুধু নয়, শিক্ষকরা তীব্রভাবে ক্ষুব্ধ ও বিক্ষুব্ধ। এটি হতে পারে না। অধ্যক্ষ মাজহারুল হান্নান আরো বলেন, সরকার যদি স্কুল-কলেজের আয় সরকারি কোষাগারে জমা নিতে চায়, তাতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। সরকারকে বেসরকারি সব শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দায় নিতে হবে। সরকারি স্কুল-কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের মতো সব সুযোগ-সুবিধাও নিশ্চিত করতে হবে। মাদরাসা শিক্ষকদের একমাত্র ও বৃহৎ শিক্ষক সংগঠন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন বেতন স্কেলে এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতনের বিষয়টি নিয়ে স্পষ্ট না করায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। সংগঠনটির সভাপতি আলহাজ্ব এ এম এম বাহাউদ্দীন, মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা শাব্বীর আহমদ মোমতাজী ও সিনিয়ার সহ-সভাপতি মাওলানা কবি রূহুল আমীন খান এক প্রতিক্রিয়ায় অবিলম্বে বিনা শর্তে সকল এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ৮ম বেতন স্কেলভুক্ত করে ঘোষণার দাবি জানান। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, গত ৭ সেপ্টেম্বর মন্ত্রীসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারীদের নতুন বেতন প্রদানের ঘোষণা দেন। অথচ গত মঙ্গলবারের ঘোষণায় তার বাস্তবায়ন না থাকায় এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীগণ হতাশ ও ক্ষুব্ধ হয়েছে। জমিয়াত নেতৃবৃন্দ সরকারি চাকরিজীবীদের সাথে একই সময়ে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কোন শর্ত ছাড়াই বেতন প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে অবিলম্বে বাস্তবায়নের অনুরোধ জানান। সরকার সমর্থক শিক্ষকদের সংগঠনগুলোর জোট শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যপরিষদের অন্যতম আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মো: শাহজাহান আলম সাজু বলেন, নতুন বেতন স্কেলে বেসরকারি শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে শুরুতে ষড়যন্ত্র হলেও পরে সেটি কেটে গিয়েছিল, কিন্তু এখন যে গেজেট প্রকাশিত হয়েছে তাতে কোনো কিছুই স্পষ্ট করা হয়নি। আমাদের বিশ্বাস বর্তমান সরকার শিক্ষকদের বঞ্চিত করবে না। বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোট পে-স্কেলের প্রকাশিত গেজেট প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের পে-স্কেলে অন্তর্ভুক্তি নিয়ে কোনো ধরনের ধূম্রজাল সৃষ্টি করা হলে তার পরিণতি শুভ হবে না। বেসরকারি শিক্ষকরা পে-স্কেল বাস্তবায়নের দিন থেকেই তাতে অন্তর্ভুক্ত হয়ে আসছেন, এখন নতুন করে কোনো ধরনের প্রশ্ন তোলা বা কোনো শর্তারোপ শিক্ষকেরা মেনে নেবে না। আগে শিক্ষকদের বেতন স্কেলে অন্তর্ভুক্তির আদেশ জারি করতে হবে। তার পর সরকারের যেকোনো ভালো উদ্যোগকে শিক্ষকেরা স্বাগত জানাবে। শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মোঃ জাকির হোসেন বলেন, ১৯৮০ সালে জাতীয় বেতন স্কেলে অন্তর্ভুক্তির পর থেকেই সবক’টি পে-স্কেলে ছিল শিক্ষকরা। এবারও শুরুতে না করা হলেও পরে শিক্ষকদের আশ্বস্ত করা হয় যে, তারাও বেতন স্কেলে থাকবে। কিন্তু প্রজ্ঞাপনে এ বিষয়ে কিছুই বলা হয়নি। তিনি বলেন, প্রজ্ঞাপনে শিক্ষকদের বিষয়ে কোন উল্লেখ না থাকায় শিক্ষকরা সারাদেশ থেকে ফোন দিচ্ছে। স্কুল-কলেজ বন্ধ করে দিয়ে তারা রাস্তায় নামতে চায়। তিনি বলেন, সরকার যদি দ্রুত কোন সিদ্ধান্ত না নেয়, তাহলে এই বিক্ষুব্ধ শিক্ষকদের থামানো যাবে না। বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও শিক্ষক-কর্মচারী সংগ্রামী ঐক্যজোটের প্রধান সমন্বয়কারী মো: নজরুল ইসলাম রনি এবং বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির মহাসচিব মো: রিয়াজ উদ্দিন এক যৌথ বিবৃতিতে অবিলম্বে বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদেরকে জাতীয় পে-স্কেলে অন্তর্ভুক্তি করে বকেয়াসহ আগামী জানুয়ারি থেকেই জাতীয় পে-স্কেল দেয়ার দাবি জানান। পে-স্কেলে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের যাচাই-বাছাইয়ের নামে কালক্ষেপণ করায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি। সংগঠনটির কার্যালয়ে গতকাল এক সভায় সমিতির সভাপতি মুহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক ও সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আয় সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া হবে কেবল শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ করা হলে। নেতৃবৃন্দ শিক্ষক-কর্মচারীদের শর্তহীনভাবে প্রজাতন্ত্রের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে ৮ম জাতীয় পে-স্কেল প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। অন্যথায় সারাদেশের হতাশ ও ক্ষুব্ধ এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীগণ ৩১ ডিসেম্বরের পর বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে। মাদরাসা শিক্ষকদের সংবাদ সম্মেলন: ইবতেদায়ি মাদরাসায় কর্মরত শিক্ষকদের আগামী ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় বেতন স্কেলে অন্তর্ভুক্ত না করলে আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষক সমিতির নেতারা। গতকাল (বৃহস্পতিবার) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক সংবাদ সম্মেলন করে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সংগঠনের মহাসচিব কাজী মোখলেছুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, দেশে দুই ধরনের শিক্ষা ব্যবস্থা চালু রয়েছে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে মাদরাসা শিক্ষা। মাদরাসার শিক্ষার প্রাথমিক স্তর হলো ইবতেদায়ি মাদরাসা। ১৯৯৪ সালে বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রাইমারি বিদ্যালয়ের সঙ্গে ইবতেদায়ি শিক্ষকদের বেতন ভাতাও একই পরিপত্রে ঘোষণা করে সরকার। এরপর বেসরকারি প্রাইমারি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন ধাপে ধাপে বৃদ্ধি করে ২০১৩ সালে ২৬ হাজারের বেশি বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করা হয়। কিন্তু একই মানের স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসাকে নিয়ে বৈষম্য করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, দেশে ৭ হাজার স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা রয়েছে। এসব মাদরাসার মধ্যে ৩৫ হাজার শিক্ষক রয়েছেন। ২০১৩ সালে ১ হাজার ৫১৯টি মাদরাসার শিক্ষকদের বেতন পাঁচশত টাকা থেকে বাড়িয়ে এক হাজার টাকা ঘোষণা করা হলেও বাকি মাদরাসায় শিক্ষকরা বেতন ভাতা থেকে এখনো বঞ্চিত রয়েছেন। ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার শিক্ষকদের জাতীয় স্কেলে বেতন ঘোষণা ও শিক্ষকদের নীতিমালা ২০১৫ অনুমোদনের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, এই সময়ের সরকার দাবি না মানলে ৩ ডিসেম্বর দেশের সব জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন ও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে শিক্ষামন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ করা হবে। তাদের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ১০ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় শিক্ষক সমাবেশ ও মানববন্ধন, ১১ ফেব্রুয়ারি বিক্ষোভ মিছিল ও শিক্ষামন্ত্রীকে স্মারকলিপি ও ১২ ফেব্রুয়ারি বিক্ষোভ মিছিল ও প্রধানমন্ত্রীর বরাবর স্মারকলিপি পেশ করা হবে বলে জানান তিনি। এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনের সভাপতি কাজী রুহুল আমিন চৌধুরী, সিনিয়র সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম হিরন, প্রধান উপদেষ্টা সাগর আহমেদ শাহীন প্রমুখ।