বাংলানিউজ : নগরীতে ইয়াবাসহ গ্রেফতার হওয়া সাংবাদিক মোহাম্মদ সেলিমের কাছ থেকে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। কক্সবাজার এবং টেকনাফের আরও কয়েকজন সাংবাদিক দেশের বিভিন্ন স্থানে ইয়াবা সরবরাহের সিন্ডিকেটে জড়িত আছে বলে তথ্য পেয়েছেন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সেলিম তার সঙ্গে থাকা আরও কয়েকজন সাংবাদিকের নামও প্রকাশ করেছে। তবে তদন্ত ও সত্যতা নিশ্চিত করার স্বার্থে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এখনই তাদের নাম প্রকাশে রাজি নয়। ইয়াবা পাচারকারী সিন্ডিকেটে থাকা সাংবাদিকদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পেতে সেলিমকে রিমা-ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অধিদপ্তর। আর যাদের বিষয়ে প্রাথমিক তথ্য পেয়েছে তাদের নজরদারি এবং আটকের প্রক্রিয়া শুরু করেছে অধিদপ্তর। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম মেট্রো উপ অঞ্চলের পরিদর্শক মোহাম্মদ ইব্রাহিম বাংলানিউজকে বলেন, কক্সবাজার-টেকনাফের কয়েকজন সাংবাদিক সেলিমের সঙ্গে ইয়াবা পাচারে জড়িত আছে বলে সে জানিয়েছে। আমরা বিষয়গুলো খতিয়ে দেখব। তাকে রিমা-ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও বিস্তারিত তথ্য নেব। তবে যাদের বিষয়ে তথ্য পাওয়া গেছে তাদের আইনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলছে। সূত্রমতে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সেলিম জানিয়েছে, সিন্ডিকেটের সদস্যরা মূলত টেকনাফের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ইয়াবাগুলো সংগ্রহ করেন। এরপর সেগুলো দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করেন। পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের চোখ ফাঁকি দিতে তারা মূলত সাংবাদিক পরিচয় ব্যবহার করেন। নগরীর কোতয়ালি থানার ফিরিঙ্গিবাজারের মেরিনার্স রোডে একটি নোহা মাইক্রোবাসে তল্লাশি চালিয়ে কম্বলের ভেতর থেকে ৪০ হাজার ইয়াবাসহ সাংবাদিক মোহাম্মদ সেলিম (৩২) ও তার স্ত্রী মুন্নি আক্তারকে (২৭) গ্রেফতার করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। সেলিম গাজী টেলিভিশনের কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ইয়াবাসহ আটকের পর তাকে চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজী টিভি কর্তৃপক্ষ। ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় কোতয়ালি থানায় দায়ের হওয়া মামলায় সেলিম বর্তমানে স্ত্রীসহ কারাগারে আছে।