এম আবু হেনা সাগর, ঈদগাঁও :
কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁওতে জেলা পরিষদের অর্থায়নে নবনির্মিত বৃহত্তর ঈদগাঁওর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও পাবলিক লাইব্রেরী অবশেষে উদ্ভোধন হয়েছে। এ নিয়ে বৃহত্তর এলাকার সর্বপেশার লোকজনের মাঝে আশার আলো দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি এলাকার তরুণ প্রজন্ম, শিক্ষার্থী ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মাঝে খুশির আমেজ বয়ে যাচ্ছে। জানা যায়, ১৫ ডিসেম্বর বিকালে জেলা যুবলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক হুমায়ুন কবির চৌধুরী হুমুর সভাপতিত্বে জেলা পরিষদের অর্থায়নে নির্মিত বৃহত্তর ঈদগাঁও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও পাবলিক লাইব্রেরী কক্সবাজার জেলা পরিষদ প্রশাসক মোস্তাক আহমদ চৌধুরীর পক্ষ থেকে নাম ফলক উদ্ভোধন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ঈদগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাষ্টার নুরুল আজিম। এছাড়া উদ্ভোধনকালে উপস্থিত ছিলেন- পোকখালী আওয়ামীলীগ সভাপতি মোজাহের আহমদ, চৌফলদন্ডী আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি হাবিব উল্লাহ, ইসলামপুর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান চৌধুরী, চৌফলদন্ডী আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মনির, সদর আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল কুদ্দুছ মাখন, ঈদগাঁও আলমাছিয়া ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হেফাজত উল্লাহ নদভী, শিক্ষক মাওলানা আবদুচ ছালাম, জেলা বাস্তুহারালীগ সভাপতি হারুনর রশিদ চৌধুরী, সদর বাস্তুহারালীগ নেতা মতিউর রহমান মতি, সাবেক যুবলীগ নেতা সাগর দত্ত, সদর উপজেলা যুবলীগের ক্রীড়া সম্পাদক সাকলাইন মোস্তাক, মিডল কক্স ইউনাইটেডের সভাপতি কাফি আনোয়ার, দৈনিক কক্সবাজার প্রতিনিধি এস.এম. তারেকুল হাসান, দৈনিক আজকের কক্সবাজারের ঈদগাঁওস্থ নিজস্ব প্রতিনিধি এম. আবুহেনা সাগর, দৈনিক রূপসীগ্রাম প্রতিনিধি শাহিদ মোস্তফা সহ এলাকার বিপুল সংখ্যক লোকজন। উক্ত উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদের প্রয়াত ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা ছাত্রলীগের একসময়ের সভাপতি আলমগীর চৌধুরী হিরুর প্রতিও শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হয়। উল্লেখ্য যে, ঈদগাঁও বাজারের কেন্দ্রীয় কালি মন্দির এবং খাদ্য গুদামের পার্শ্ববর্তী স্থানে জেলা পরিষদের অর্থায়নে ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে পাবলিক লাইব্রেরী, ১৫ লাখ টাকা ব্যয়ে শহীদ মিনার নির্মিত হয়। এ শহীদ মিনারটি নির্মাণ পূর্বক উদ্ভোধনের ফলে ঈদগাঁওয়ের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অনায়াসে নানা জাতীয় দিবস পালন করতে পারবে। অপরদিকে পাবলিক লাইব্রেরী নির্মাণের ফলে বহুমূখী প্রতিভা বিকাশের সুযোগ সৃষ্টি হবে। বই মানুষের জ্ঞানের প্রতীক, বই মানুষকে জ্ঞানের জগতের আলোকে আলোকিত করে। কিন্তু এই বই যখন হয় দু®প্রাপ্য। তখন জ্ঞান চর্চার অভাবে মানুষ জ্ঞানের পরিবর্তে অন্ধকার পথে ধাবিত হয়। এই অন্ধকার পথে যাত্রীরা নানা অপরাধ কর্মকান্ডের পথে পা বাড়িয়ে সুন্দর সমাজকে কলুষিত করে তুলছে। এই আঁধার পথে যাত্রীদেরকে সুন্দর আলোর পথে এনে সভ্য মানুষ হিসেবে গড়ে তুলে সৎ পথের যাত্রী করতে পারে ভালমানের পুস্তক। শুধু তাই নয় শিক্ষিত মানুষের জ্ঞানকে আরও প্রসারিত করার জন্য চাই বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, আন্তর্জাতিক ও অর্থনীতি বিষয়ের উপর নানা পুস্তকাদি নবনির্মিত পাবলিক লাইব্রেরীতে মজুদ করে রাখার আহবান সচেতন মহলের।