মহেশখালীতে ইয়াবার চালান নিয়ে তোলপাড়
মহেশখালী প্রতিনিধি :
মহেশখালীতে খালাস হওয়া বিশাল ইয়াবার চালান নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশ বড় মহেশখালীর মুন্সির ডেইল ও পৌরসভার সিকদার পাড়া এলাকায় একাধিক অভিযান চালিয়েছে। পুলিশ পৌর মেয়র ও সালাউদ্দিনের বাড়ি থেকে ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে। একইভাবে সন্দেহজনক একটি কার জব্দ করেছে।
জানাগেছে গত ১৫ আগস্ট একটি ইয়াবার বিশাল চালান খালাস করে মেয়রের নিকট আতী¥য় সালাহ উদ্দিন। রাতে এই চালানটি খালাস করার পর মেয়র এর পরিবারের অপর সদস্য মৃত আমান উল্লাহর ছেলে ফরহাদ তার বড় মহেশখালীর মুন্সির ডেইল ও পৌরসভার সিকদার পাড়ার এই ইয়াবা পাচাকারী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অস্ত্রের মহড়া ছালিয়ে খালাস হওয়া সালাউদ্দিনের ওই ইয়াবার বিশাল চালানটি ছিনতাই করে বড় মহেশখালীর মুন্সিরডেইলের তার বন্ধু সোহাগের হেফাজতে নিয়ে যায়। পরে মেয়র মকছুদ মিয়ার মধ্যস্থতায় নগদ টাকার বিনিময়ে ফরহাদের নিয়ন্ত্রণ থেকে চালানটি পুননায় ইয়াবা পাচারকারী ছালা উদ্দিনের হেফাজতে নিয়ে আসে। পরে খবর পেয়ে বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় পড়ে যায় । পুলিশ প্রথমে গত পরশু ভোরে মুন্সির ডেইলের সোহাগের বাড়িতে অভিযান চালায়। ওই সোহাগ একজন বড় আওয়ামীলীগ নেতার আত্মিয়। পরে পুলিশ গতকাল ভোর রাতে পৌরসভার মেয়র মকছুদ মিয়া ও তার নিকটাত্মিয় যোদ্ধাপরাধী মামলায় পলাতক মৌলভী জকরিয়ার পুত্র ছালা উদ্দিন এর বাড়িতে অভিযান চালায়। এসময় পুলিশ ওই বাড়ি থেকে একটি গাড়ি নিয়ে ইয়াবা পাচারের জন্য অপেক্ষায় থাকা ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে। অন্যস্থান থেকে জব্দ করেছে একটি গাড়ি। গ্রেফতার কৃতরা হলেন মৃত: গিয়াস উদ্দিনের পুত্র মো: মিসকাত সিকদার, মৌ লোকমানের পুত্র মো: আরিফ, আবুবক্কর (৩৫), ময়মন সিংহের তারাকান্দ এলাকার মৃত আব্দুু সালামের পুত্র মো: নুরুল ইসলাম(৪৫), চট্টগ্রামের জামাল খান এলাকার মৃত হাজি জহুর আহমদের পুত্র মো: মোজাফ্ফর মিয়া প্রমুখ। এসময় পুলিশ অভিযান চালিয়ে অন্য স্থান থেকে একটি কার জব্দ করে থানায় নিয়ে আসে। গাড়িটির নাম্বার চট্টমেট্রো-ক ১১-০৬২৩। কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তোফায়েল আহমেদ সার্কেল এসপি মাসুদ আলামের নেতৃত্বে এই অভিযান চলে। ঘটনার সত্যাতা স্বিকার করেন মহেশখালী থানার ওসি সাইকুল আহমদ ভুইয়া ও ওসি তদন্ত দিদারুল ফেরদৌস ঘটনার সত্যতা স্বিাকার করেন। তারা বলেন পুলিশের অভিযান অব্যহত থাকবে। নতুন ডিজাইনের গাড়ীটি মহেশখালী উপজেলা সদর সহ বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ফেরা করলে সাধারণ মানুষের মাঝে সন্ধেহ সৃষ্টি হয়। এ গাড়িটি কোন ইয়াবা অথবা সোনা চোরা চালনা কাজে ব্যবহার হতে পারে । অবশেষে মানুষের জল্পনা কল্পনা সত্যির দিকে অগ্রসর হচ্ছে। মহেশখালী জেটি ঘাট খাস খালেকশনের নামে ইয়াবা ব্যবাসীয়দের চোরা চালান কাজে ব্যবহার করছে পরিবারটি সচেতন মহলের দাবী। সূত্র জানায়, মহেশখালীর মেয়রের ইন্দনে দীর্ঘ দিন থেকে এই ইয়াবা চালানের কাজ করে আসছিল ছালাহ উদ্দিন। ছালা উদ্দিনের এই অপর্কমের অন্যতম হোতা হল তার ড্রাইভার নুরুল আলম প্রকাশ নুইরগ্যা। তাছাড়া ফরিদ মাঝিসহ অনেকে এই কাজের সাথে জড়িত বলে জানাগেছে।