মোঃ আশেক উল্লাহ ফারুকী, টেকনাফ প্রতিনিধি :
বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণ সীমান্ত জনপদ সাগর, নাফ-নদী ও বিস্তীর্ন পাহাড় এবং সম্পদের ভরপর হিসাবে পরিচিত টেকনাফ। দেশও বিদেশে এক নামে পরিচিত টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া। প্রবাদ রয়েছে উখিয়া-টেকনাফ থেকে যে সাংসদ নির্বাচিত হয়, সে দল ক্ষমতায় যায়। এমন ধারা অব্যাহত রয়েছে। জেলা যে ক’টি উপজেলা রয়েছে, তার মধ্যে, টেকনাফ সীমান্ত উপজেলার গুরুত্ব অপরিসীম। এটি পর্যটন এলাকা হিসাবে দেশ বিদেশে পরিচিত। যদিও এ উপজেলা শিক্ষার দিক থেকে পিছিয়ে থাকলেও এ শূন্যতা পূরনে স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমানে শিক্ষার হার ২৬ শতাংশ অতিক্রম করে তার অভিষ্ঠ লক্ষ্যে পৌছতে শিক্ষার এক বৈপ্লবিক ধারা অব্যাহত রয়েছে। অবশিষ্ট জনগোষ্টীদের আক্ষরিকাজ্ঞান না থাকালেও তাদের মননে রয়েছে শিক্ষার প্রতি আন্তরিকতা ও সচেতনতা। টেকনাফের অতীত এবং বর্তমান প্রেক্ষাপট পর্যালোচনা করে দেখা-গেছে বিগত সাত বছরে টেকনাফে যে হারে উন্নয়ন সাধিত হয়েছে তাহা অতীতকে হার মানিয়েছে। যোগ্য, নেতৃত্ব এবং দেশ প্রেমিকের কারনে সীমান্ত জনপদ টেকনাফের উন্নয়নে চেহার পাল্টে যাচ্ছে । বিশেষ করে এর একমাত্র অবদান, বিশিষ্ঠ সমাজ সেবক ও দানবীর প্রয়াত এজাহার মিয়া কোম্পানীর সুযোগ্য পুত্র উখিয়া টেকনাফের সাংসদ আলহাজ্ব আব্দুর রহমান বদীর। তার মেধা যোগ্যতা ও আন্তরিকতা দিয়ে উন্নয়নে অবিরাম কাজ করেই যাচ্ছে। টেকনাফ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং আঃলীগ নেতা জাফর আহমদের সাথে তার কার্যালয়ে এক সৌজন্য সাক্ষাৎ হলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, টেকনাফ উপজেলাকে একটি মডেল উপজেলা হিসাবে রূপ নিতে আমার স্বপ্ন রয়েছে। এ স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে চাই। শিক্ষার উন্নয়ন আমার প্রথম কাজ বলে তিনি জানান। এর পাশাপাশি অবহেলিত গ্রামে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে গরীব দুঃখী মানুষের মুখে হাশি ফুটাবো এ চিন্তাধারা আমার আছে। টেকসই উন্নয়ন ছাড়া বিকল্প কোন পথ নেই। এলাকার মাটি ও মানুষের স্বভাব পর্যালোচনা করেই আমার উন্নয়ন হবে। অতীতে যারা বল্গাহীনভাবে উন্নয়ন গঠিয়েছে, আমি সে নীতিতে বিশ্বাসী নই। আমি এর ব্যতিক্রম। নির্বাচনোত্তর যে উন্নয়নে যে সব প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, তাহা আমি বাস্তবায়ন করতে চাই। আইন শৃংখলা ও চোরাচালান সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাদক, ইয়াবা, মানবপাচার ও রোহিঙ্গা এর জন্য দায়ী। এ ৩টি সমস্যা অতীতেও ছিল বর্তমানেও আছে। এটি এখন জাতীয় সমস্যা হিসাবে রূপ নিয়েছে। এসমস্যা উত্তরনে আমি প্রতি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে জনসচেতনতা গড়ার পত্যয়ে মাদক ও মানব পাচার মুক্ত এলাকা গড়ার লক্ষ্যে সভাও সমাবেশ অব্যাহত রয়েছে। এ ৩টির জন্মদাতা অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গারা। তাদের টেকাতে পারলেই এ সমস্যা নিমিশে শেষ হয়ে যাবে। তিনি আরো বলেন, মাদক ও মানবপাচারের সাথে কোন ধরনের আপোষ নেই। এর বিরুদ্ধে আমার অবস্থান অটল থাকবে। এতে কোন সন্দেহ নেই। এর সাথে জড়িত লোক যেই হউক না কেন, তাদেরকে সামাজিক ভাবে বয়কট করা হবে। তাদের অপকর্মের কারণে আমরা কেন ? তার খেশারত দিব। রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ টেকাতে এবং আশ্রয়দানকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সম্মিলিত প্রয়াস প্রয়োজন।