নিজস্ব প্রতিবেদক :
গভীর সমুদ্রে ইঞ্জিনবিহীন ট্রলারে ভাসমান থাকা ৩০ জেলেকে উদ্ধার করা হয়েছে।শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কক্সবাজারের ৬নম্বর জেটিতে এসে পৌঁছায় ভাসমান ট্রলারটি।উদ্ধারকৃত জেলেরা সবাই শারীরিকভাবে অসুস্থ হওয়ায় তাদের শহরের বিভিন্ন জায়গায় প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় গভীর সমুদ্রে ৩০ জেলেকে নিয়ে ভাসমান অবস্থায় এফবি কিশোয়ান ট্রলারটিকে এফবি হানিফ ট্রলারের সঙ্গে বেঁধে নেওয়া হয়। ৫ ঘণ্টা চালানোর পর এফবি হানিফ ট্রলারের তেল শেষ হয়ে যাওয়ায় এফবি আল্লাহর দান নামে অপর একটি ট্রলার আরও ১২ ঘণ্টা চালিয়ে কক্সবাজারের সেন্টমার্টিনের কাছাকাছি নিয়ে আসে তাদের।পরে অপর নামবিহীন একটি মাছধরা ট্রলারের সহযোগিতায় ৩০ জেলেকে সকাল ৯টার আগে কক্সবাজারের ৬নম্বর জেটিতে পৌঁছে দেওয়া হয়।তিনি আরও জানান, প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উদ্ধারকৃত ওই ৩০ জন জেলের মধ্যে এফবি মামুনি ট্রলারের ১৬ জন জেলেকে পাথরঘাটার শাহিন ফিটারের এফবি নায়েম ট্রলারের মাধ্যমে পাথরঘাটায় নিয়ে আসা হবে।উদ্ধারকৃত জেলেদের মধ্যে জহিরুল হক, নান্না মিয়া, শহিদ, কবির, জামাল, মামুন, মতি মিয়া, মহিউদ্দিন, জোবায়ের, মনির হোসেন, খোকন মিয়া, আবুল কালাম, বাদশা মিয়া, আ. রহমান, দুলাল, আবু কালাম, আবুল হোসেনের নাম জানা গেছে।গত ১৬ ডিসেম্বর বঙ্গোপসাগরের জাহাজমারা এলাকায় মাছ ধরার সময় দস্যুরা হামলা করে পাথরঘাটার এফবি মামুনি ট্রলারের ১৯ জেলের মধ্যে কালাম মাঝি, মাসুম মিস্ত্রি ও জাকির মিস্ত্রিকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে তারা এফবি কিশোয়ান ট্রলারের ১৬ জেলেকে উঠিয়ে দিয়ে ওই ট্রলারের ইঞ্জিন খুলে নিয়ে এফবি মামুনি ট্রলারসহ গহীন বনে নিয়ে যায়। এরপর থেকে ইঞ্জিনবিহীন এফবি কিশোয়ান ট্রলারে করে ওই ৩০ জেলে গভীর সমুদ্রে ভাসমান ছিলেন। বরগুনা জেলা ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আ. মান্নান মাঝি বলেন, আমরা সকালে খবর পাওয়া মাত্রই এফবি নায়েম নামে একটি ট্রলার জেলেদের নিয়ে আসার জন্য পাঠিয়েছি।