প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
বিগত বেশ কিছুদিন যাবত স্থানীয় সংবাদপত্র ও অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতির পদ নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় সাধারণ নেতা-কর্মী,পাঠকসহ সচেতন মহলে দলীয় ভাবমূর্তি নিয়ে নানা ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে কক্সবাজার জেলা যুবলীগ ও টেকনাফ উপজেলা যুবলীগ এসব প্রতিক্রিয়া ও বিভ্রান্তি দূর করার জন্য সকলের সদয় জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছে-গত ১২ ডিসেম্বর/২০১৪ইং টেকনাফ উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি একরামূল হক ও সাধারণ সম্পাদক নুর হোসেন জেলা যুবলীগের অনুমতিক্রমে সাংগঠনিক শৃংখলা পরিপন্থী,নৈতিকতা বিরোধী,সমাজ বিরোধী ও অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িত থাকা এবং হ্নীলা ইউনিয়ন যুবলীগের ৪১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি হতে ৩৭জন সদস্য অনাস্থা প্রদান করায় হ্নীলা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মমতাজুল ইসলাম কালামকে সভাপতির পদ হতে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছিল। সাংগঠনিক কার্যক্রম গতিশীল রাখার জন্য হ্নীলা ইউনিয়ন যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি দিল মোহাম্মদ সিকদারকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলীকে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা প্রদান করা হয়। জেলা যুবলীগের সভাপতি মোহাম্মদ খোরশেদ আলম জানান-মমতাজুল ইসলামের উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা বলবত থাকায় হ্নীলা ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দিল মোহাম্মদ সিকদার এবং সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলীর নেতৃত্বে পরিচালিত হবে। এরই প্রেক্ষিতে তাদের নেতৃত্বে হ্নীলা ইউনিয়ন যুবলীগের কার্যক্রম চলে আসছে। আশা করি এতে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে হ্নীলা ইউনিয়ন যুবলীগ নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার অবসান ঘটবে।
এদিকে টেকনাফ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি নুরুল আলম চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদক নুর হোসেন বলেন গতকাল প্রকাশিত সংবাদটি সম্পর্কে আমাদের কোন বক্তব্য না নিয়ে মনগড়া বক্তব্য দিয়ে নেতা-কর্মী,পাঠকসহ সচেতন মহলে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। আগামীতে এই জাতীয় কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকার জন্য সংবাদকর্র্মী ভাইদের প্রতি অনুরোধ জানানো হচ্ছে। ভবিষ্যতে এই ধরনের তথ্য বিভ্রাটের কবলে পড়ে দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুন্নকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। হ্নীলা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি কালাম স্বপদে বহাল মর্মে যে ভূয়া সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে সেই ভিত্তিহীন সংবাদে সংশ্লিষ্ট কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ জানানো হচ্ছে।