এফ এম সুমন : বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির কেন্দ্রীয় নতুন পরিচালনা পর্ষদে কক্সবাজার জেলা থেকে একজন সদস্য মনোনিত করা এখন কক্সবাজারবাসীর সময়ের দাবীতে পরিনত হয়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। কেননা কক্সবাজার উপকুলীয় এলাকা, কক্সবাজারের মানুষ সাগরের সাথে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করে বেঁেচ থাকে। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সবচেয়ে বড় সমস্যা যেটা সারা বাংলাদেশের সমস্যা রোহিঙ্গা নাগরিক। এ যেন মরার উপর খাড়ার ঘা।কক্সবাজারের মানুষের কাছে রেডক্রিসেন্ট শব্দটি অনেক পুরনো। প্রায় সব’কটি ঘুর্ণিঝড়ে রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি কক্সবাজার জেলা ইউনিট সফলতার সহিত জীবন বাজি রেখে কাজ করে আসছেন। ২০১৭ সালে যখন আমাদের প্রতিবেশি দেশ মায়ানমার থেকে লাখ লাখ রোহিঙ্গা নাগরিক এ দেশে ঢুকতে শূরু করে ঠিক তখন (প্রাথমিক) অবস্থা থেকে বাংলাদেশে রেডক্রিসেন্ট কাজ শুরু করেন যেখানে কক্সবাজার ইউনিট ব্যাপক কাজ করেন। রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি এখনো রোহিঙ্গা ক্রাইসিস নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। এ অবস্থায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্টের কেন্দ্রীয় নতুন পরিচালনা পর্ষদ ঘোষনা করার নিদের্শনা দিয়েছেন। যা নিয়ে কক্সবাজারবাসী এবার আশায় বুক বেঁেধছে অন্তত আমরা এবার একজন সদস্য কক্সবাজার থেকে পাবো। এবারের নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠনের ব্যাপারে কয়েকজন রেড়ক্রিসিন্টের স্বেচ্ছাসেবকের সাথে কথা হলে তারাও তাদের আশার কথা জানান। তারা বলেন আমাদের মনে হয় বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট কক্সবাজারে সবচেয়ে বেশি কাজ করছেন কেননা একদিকে উপকুলীয় এলাকা অন্যদিকে রোহিঙ্গা সমস্যা। এ অবস্থায় তারাও চান এবারের কমিটিতে কক্সবাজার জেলা থেকে অন্তত একজন সদস্য কেন্দ্রীয় কমিটিতে রাখা হোক। জানা যায়, এই পর্যন্ত ৩৪৭জন যুব রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি কক্সবাজার ইউনিটের স্বেচ্ছাসেবক রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কাজ করে যাচ্ছেন। রোহিঙ্গা নাগরিক ২০১৭ সালের ২৫শে আগষ্ট বাংলাদেশে প্রবেশের পর থেকে বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি কক্সবাজার যুব ইউনিটের সদস্য সদস্যাগণ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জিরো পয়েন্টে প্রবেশ করে এক নাগাড়ে ৪৫ দিন পানি সরবরাহ করেছিলেন তখন সরকার, বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি ককসবাজার ইউনিট ও মাত্র গুটিকয়েক এনজিও ছাড়া আর কেউ ছিলনা। শুধু রোহিঙ্গা ক্রাইসিস নয় বাংলাদেশে যে কোন দূর্যোগকালীন সময়ে বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি ককসবাজার ইউনিট গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে ইতিমধ্যেই সুনাম অর্জন করেছেন। চলমান বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাস সংক্রমণের হাত থেকে কক্সবাজার বাসীকে সুরক্ষিত রাখতেও অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি ককসবাজার ইউনিট। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি সৃষ্টির পর থেকে দীর্ঘ ৩৫/৪০ বছর যাবৎ সফলতার সহিত দায়িত্ব পালন করে বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি ককসবাজার ইউনিটকে এই পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন অনেক অভিজ্ঞতা সম্পন্ন স্বেচ্ছাসেবক ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ। কিন্ত দুঃখের বিষয় আজ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় পরিচালনা পর্ষদে কক্সবাজার থেকে কাউকে জায়গা দেয়া হয়নি। কেউ কেউ বলছেন এটি আমাদের উপর অনেকটা বৈষম্যও দুঃখজনকও বটে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি ককসবাজার ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক আবু হেনা মোস্তফা কামাল চৌধুরী বলেন, আমরা কক্সবাজারের মানুষ। রেডক্রিসেন্ট কক্সবাজারে অনেক কাজ করছেন এবং করে যাচ্ছেন দেশের যে রোহিঙ্গা সমস্যা তা নিয়ে ও রেডক্রিসেন্ট কাজ করে যাচ্ছেন। তবে আমার জানামতে আজ পর্যন্ত কক্সবাজার থেকে কাউকে কেন্দ্রীয় পরিচালনা পর্ষদে রাখা হয়নি তা আমাদের জন্য বড় কষ্টের। তবে এবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কেন্দ্রীয় পর্ষদ গঠনে তাগিদ দিয়েছেন এবার আশা করছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের কক্সবাজারের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবী একজনকে কেন্দ্রীয় কমিটিতে সুযোগ করে দিবেন। কারন মাননীয় প্রধাণমন্ত্রী কক্সবাজারের মানুষের কথা চিন্তা করেন কক্সবাজার নিয়ে ভাবেন। তিনি আরো বলেন কক্সবাজার থেকে একজনকে সদস্য মনোনীত করা এখন দাবী শুধু নয় এটি আমাদের অধিকারের সমান। তবে কক্সবাজার জেলা ইউনিটের সদস্যগণ এবার আশা করছেন অন্তত একজন হলেও নতুন পরিচালনা পর্ষদে জায়গা পাবে।