আরিফ সিকদার বাপ্পী, ইউএই থেকে :
Expo 2020 কে সামনে রেখে ‘মিউজিয়াম অব দি ফিউচার’ নামে অসাধারণ স্থাপত্যশৈলির একটি জাদুঘর নির্মাণ করতে যাচ্ছে দুবাই। তবে প্রচলিত অর্থে জাদুঘর বলতে যা বোঝায় তা এর সঙ্গে পুরোপুরি মিলবে না। কারণ এ জাদুঘরে থাকবে ভবিষ্যতের অসংখ্য প্রযুক্তি।
মরুভূমির বুকে সাধারণ একটি বন্দর থেকে দুবাইয়ের অত্যাধুনিক শহরে পরিণত হওয়ার গল্পটি যেন দুবাইকে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। এ শহরেই রয়েছে বুর্জ খলিফা নামে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভবন। এ ছাড়াও রয়েছে বহু অসাধারণ ল্যান্ডমার্ক। দুবাইয়ের মল ও পাম আইল্যান্ডের মতোই আরেকটি অসাধারণ উদ্ভাবন যোগ হতে যাচ্ছে শহরটিতে, যার নাম ‘মিউজিয়াম অব দি ফিউচার।’
সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রাশিদ আল মাখতুম দুবাইয়ের এ ‘মিউজিয়াম অব দি ফিউচার’ প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন। ২০১৭ সাল নাগাদ এর নির্মাণকাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। জাদুঘরটির উদ্বোধন করে তিনি জানান, ২০১৫ সালকে আবিষ্কারের বছর হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। দুবাইকে আন্তর্জাতিক উদ্ভাবনের অন্যতম গন্তব্য হিসেবে প্রমাণ করার বিষয়টিকে তারা খুবই গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন।
জাদুঘরটিতে কী প্রদর্শন করা হবে? এ প্রসঙ্গে আয়োজকরা জানিয়েছেন জাদুঘরটির মূলমন্ত্র হবে, ‘ভবিষ্যত দেখুন, ভবিষ্যত তৈরি করুন।’ এতে প্রদর্শিত হবে ভবিষ্যতের অসাধারণ সব প্রযুক্তি। জাদুঘরটিতে ডিজাইনার, গবেষক, বিজ্ঞানী, উদ্ভাবক, উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারীদের আমন্ত্রণ জানানো হবে নতুন প্রযুক্তি উন্নয়নের জন্য। এতে প্রদর্শিত হবে নতুন বহু উদ্ভাবন।
জাদুঘরটির নির্মাণ ব্যয় হতে যাচ্ছে ১৩৬ মিলিয়ন ডলার। এর অনেক অংশ নির্মাণ করা হবে থ্রিডি প্রিন্টারের মাধ্যমে।