এম আবু হেনা সাগর, ঈদগাঁও :
কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁওতে বারবার বন্যার আঘাতে এখানকার চাষীরা চাষাবাদে বিধ্বস্থ হয়ে মাথায় হাত দেওয়ার উপক্রম শুরু হয়েছে। জানা যায়, সম্প্রতি থেমে থেমে বৃষ্টিপাত আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের পঞ্চম দফায় বন্যার পানিতে বৃহত্তর ঈদগাঁও তথা ছয় ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের অসহায় ও হতভাগা চাষীদের চাষাবাদে চরমভাবে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যে ক্ষতি কখনো পুষিয়ে উঠার নয়। আবার বিভিন্ন এলাকায় জমিদার থেকে নগদ টাকার বিনিময়ে তাদের জমিতে চাষ করে বর্গা চাষীরা। কিন্তু ছয় ইউনিয়নের শত শত ফসলী জমি চাষাবাদ একের পর এক ধ্বংস হয়ে পড়েছে বন্যায়। কারো পৌষ মাস, কারো সর্বনাশে পরিণত কৃষক সমাজ। অপরদিকে অনেক চাষীর রোপিত হরেক জাতের ধানের চারা আর অনেক চাষীর চাষাবাদে ঠিকঠাক করার পর ধানের চারা রোপনের মুহুর্তে বন্যায় লন্ডভন্ড করে দিয়েছে সবকিছু। এ নিয়ে বর্তমানে বৃহত্তর এলাকার চাষীদের চোখে মুখে হতাশার কালো ছায়া দেখা দিয়েছে। এমনকি বিশাল এলাকার গ্রামাঞ্চলের অসহায় এসব চাষীরা তাদের প্রিয় কৃষি পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় চলে যাওয়ার উপক্রম শুরু হয়েছে। আবার অনেক চাষীরা বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে চাষাবাদ কাজে নিয়োগ করেছে। এখন তারা ঐ ঋণ কিভাবে শোধ করবে এ নিয়ে মহাচিন্তায় চিন্তিত কৃষককূল। তবে গ্রামাঞ্চলের বেশ কয়েকজন কৃষকের সাথে কথা বললে তারা অশ্রুসিক্ত নয়নে- “ও সাংবাদিক ভাই, আমরা শেষ হয়ে গেছি। আমাদের দেখার কি কেউ নেই?”। পাশাপাশি তারা সরকারের কাছে চাষাবাদের ক্ষতিপূরণের দাবী জানাচ্ছে। অপরদিকে আরেক হতভাগা চাষী জানান, বন্যায় আমি আমার কাঙিখত চাষাবাদে শেষ হয়ে গেছি। একদিকে বন্যা, অন্যদিকে কষ্ট আর অর্থ ব্যয়। দু’দিকেই হারিয়ে এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছি। ভেবে কুল পাচ্ছি না এখন কি করব। এ ব্যাপারে সাংস্কৃতিক কর্মী কুতুব উদ্দীনের সাথে কথা হলে তিনি- চলতি মাসের ২২ তারিখ বর্গাচাষীদের ক্ষতিপূরণ শীর্ষক এক সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান।