এক ভিডিও ক্লিপে দেখা গেছে, কাউন্সিলর ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা একে অপরকে অভদ্র ও অশালীন ভাষায় আচরণ করেন। উভয়কে তেড়ে আসতে দেখা গেছে।
এসময় কাউন্সিলর বাবুল হুমকি দিয়ে বলেন, ‘আরে মিয়া আপনি কি হইছেন? আপনি কিভাবে এখানে চাকরি করেন আমি দেখবো। আপনার চাকরি কিভাবে থাকে আমি দেখে নেবো।’
একইভাবে হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা ফারুকও কাউন্সিলরকে ছাড় দেননি। তিনি বলেন, ‘আপনি আমারে কিছু করতে পারবেন না। আপনার দৌঁড় কতদূর আমি জানি।’ আধা ঘন্টা ধরে এই তুমুল ঝগড়া পরে উপস্থিত লোকজনের হস্তক্ষেপে নিয়ন্ত্রণে আসে। এই ঘটনাটি কিছুক্ষণের কক্সবাজার পৌরসভাসহ আশেপাশের লোকজনের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।
পৌরসভা সূত্র জানিয়েছে, পৌর ৫নং ওয়ার্ডের এসএমপাড়া-বড়–য়াপাড়া সড়কের নালা সংস্কারে টেন্ডারে কাজ পায় সিকদার এন্টারপ্রাইজ। কিন্তু ওই প্রতিষ্ঠান থেকে সাব কন্টাকে প্রকল্পটির কাজ নিয়ে নেয় ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সালামত উল্লাহ বাবুল। ২০১৪ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি কাজ শুরু হয়ে গত ৭ জুলাই শেষ হয় প্রকল্পের কাজ। ৯ লাখ টাকার এই প্রকল্পের ৮ লাখ আদায় করা হলেও বাকী ১ লাখ ৯৪ হাজার টাকা বকেয়া থাকে। বাকী টাকা চাইলে পৌর হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা ফারুক আহমেদ কাউন্সিলর বাবুলকে ১ লাখ টাকা দেন। কিন্তু বাবুল পুরো টাকা চান। এ নিয়ে তিনি হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা ফারুক আহমেদকে চাপ সৃষ্টি করেন। এ নিয়ে উভয়ে ঝগড়ায় লেগে যান। এসময় কাউন্সিলর হেলাল উদ্দীন কবির উপস্থিত থাকলেও তিনি নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছেন। পরে অন্য কাউন্সিলর মাহবুবুর রহমান এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এ ব্যাপারে চান কাউন্সিলর সালামত উল্লাহ বাবুল এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি দাবী করেন।
কক্সবাজার পৌরসভার হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা ফারুক আহমদ বলেন, ‘অনিয়মতান্ত্রিক ভাবে সাব-কন্টাক্ট নিয়ে জোর পূর্বক টাকা আদায় করতে আমার উপর চাপ সৃষ্টি করে কাউন্সিলর বাবুল। টাকা দিতে না পারায় ক্ষিপ্ত হয়ে আমার সাথে অসদাচরণ করেছেন তিনি।’