স্থানীয় নেতা এবং জান্তা-সমর্থিত মিডিয়া অনুসারে মঙ্গলবার ঘূর্ণিঝড়-বিধ্বস্ত মিয়ানমারে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬০ জনে পৌঁছেছে। রবিবার ঘণ্টায় ১৯৫ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়া মোখার আঘাতে দেশটিতে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে যায় এবং কাঠের মাছ ধরার নৌকাগুলো ক্ষতিগ্রস্তত হয়। খবর এএফপির।।
রাখাইন রাজ্যে নির্যাতিত রোহিঙ্গা মুসলিম সংখ্যালঘু অধ্যুষিত বু মা এবং নিকটবর্তী খাউং ডোকে কার গ্রামে অন্তত ৪১ জন মারা গেছে বলে স্থানীয় নেতারা ঘটনাস্থলে এএফপি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারকারী এমআরটিভি জানিয়েছে, রাখাইনের রাজধানী সিতওয়ের উত্তরে রাথেদাউং শহরের একটি গ্রামে মঠ ধসে ১৩ জন নিহত হয়েছে এবং পার্শ্ববর্তী গ্রামে একটি ভবন ধসে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে।
সিতওয়ের কাছে বু মা গ্রামের প্রধান কার্লো বলেন, ‘আরও বেশি মৃত্যু হবে, কারণ একশোরও বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছে।’
এএফপি সংবাদদাতারা জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে থাকা বৃষ্টির জলে ভেসে যাওয়া পরিবারের সদস্যদের সন্ধানে অন্যান্য বাসিন্দারা সমুদ্রতীরে ঘুরেছেন।
রাষ্ট্রীয় মিডিয়া সোমবার বিশদ বিবরণ না দিয়ে পাঁচজনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে।
মোখা ছিল এক দশকেরও বেশি সময়ে এই এলাকায় আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়।
মিয়ানমারে তার দূতাবাসের ফেসবুক পেজে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চীন বলেছে যে তারা ‘জরুরি দুর্যোগে ত্রাণ সহায়তা দিতে ইচ্ছুক।’
জাতিসংঘের শরণার্থী অফিস বলেছে, তারা ঝড়ের কারণে বাস্তুচ্যুত শিবিরে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের মৃত্যুর খবর তদন্ত করছে।
বাংলাদেশের কর্মকর্তারা এএফপিকে বলেছেন, ঘূর্ণিঝড়ে কেউ মারা যায়নি।
রোহিঙ্গা গ্রামবাসীরা এএফপিকে জানিয়েছে, তারা এখনও কোনো সহায়তা পায়নি। বাসারা গ্রামের ৩৮ বছর বয়সী কিয়াও স্বর উইন বলেন, ‘কোন সরকার, কোন সংস্থা আমাদের গ্রামে আসেনি। আমরা দুই দিন খাইনি… আমরা কিছুই পাইনি এবং আমি শুধু বলতে পারি যে কেউ জিজ্ঞাসা করতেও আসেনি।’