নিজস্ব প্রতিবেদক :
চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে পেকুয়া-কুতুবদিয়া ও বাঁশখালীর জলদস্যূ কবির বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড মামুনসহ ১৫ জনকে আটক করেছে র্যাব-৭ এর সদ্যসরা। এসময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমান দেশী-বিদেশী আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। ২১ জানুয়ারি (শুক্রবার) গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
আটককৃতরা হলেন,নুরুল আফসার, নূরুল কাদের, হাসান, মোঃ মামুন পরবর্তীতে তাদের দেওয়া তথ্য মতে বাকী জলদস্যূদের চকরিয়া থানার ডান্ডিবাজার এলাকার কবীরের আস্তানা থেকে ডাকাতির প্রস্তুতি কালে মোঃ নুরুল কবির , মোঃ আব্দুল হামিদ, আবু বক্ক, মোঃ ইউসুফ, গিয়াস উদ্দিন , মোঃ সফিউল, মোঃ আব্দুল খালেক, মোঃ রুবেল উদ্দিন , মোঃ সাইফুল ইসলাম জিকু, মোঃ সুলতান, ও মোঃ মনজুর আলমকে আটক করে। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে অপহরণ ও ডাকাতির একাধিক মামলা রয়েছে।
র্যাব সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ জানুয়ারি ১৭ জন জেলেকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের তথ্য র্যাব-৮ থেকে সরবরাহ করা হয়। মুক্তিপনের ১০ লক্ষ টাকার দাবী করে। পরে অসহায় ও নিরীহ জেলেরা তাদেরকে ২ লক্ষ টাকা প্রদান করে। একই ঘটনায় অপহৃত ভিকটিমদের পক্ষ থেকে র্যাব-৭ বরাবর একটি অভিযোগ দয়ের করেন। এরই প্রেক্ষিতে র্যাব সদর গোয়েন্দা বিভাগ, র্যাব-৭ ও র্যাব-৮ ভিকটিমদের উদ্ধারের ব্যপক আভিযান পরিচালনা করে। জলদস্যূরা র্যাবের অভিযান টের পেয়ে ২ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ পেয়ে ভিকটিমদের ছেড়ে দেয়। তারা কুখ্যাত জলদস্যূ কবীর বাহিনীর প্রধানের কথা বলে মুক্তিপণ দাবি করে।
র্যাব আরো জানিয়েছে, একই দিন জলদস্যূরা কবীরের নেতৃতে ইউসুফের একটি নৌকা ভাড়া করে যার মধ্যে পেকুয়ার মগনামা ঘাট থেকে ৭ জন কুখ্যাত জলদস্যূ উঠে এবং কুতুবদিয়া থেকে আরো ৮ জন জলদস্যূ নৌকাটিতে উঠে। তারা পুনরায় ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল বলে জানান।
উলেখ্য অপহরণকৃত ১৭ জেলের মধ্যে ১৬ জনকে উদ্ধার করা হলেও জেলে নোয়াখালী আন্ডারচর চরকাউনিয়া এলাকার সামাদের আনোয়ার হোসেন এখনও নিখোঁজ রয়েছে।