রবিবার , ১৬ এপ্রিল ২০২৩ | ১৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
  1. blog
  2. Download Firmware
  3. অপরাধ
  4. অর্থনীতি
  5. আইন আদালত
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আরো
  8. ইসলাম
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কক্সবাজার
  11. করোনাভাইরাস
  12. খেলাধুলা
  13. জাতীয়
  14. জেলা-উপজেলা
  15. পর্যটন

টেকনাফের ইয়াবা গডফাদার রবিউল আটক

প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক :
এপ্রিল ১৬, ২০২৩ ১১:০০ অপরাহ্ণ

টেকনাফ নাজির পাড়ায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী সিদ্দিক আহম্মদ এর ছেলে রবিউল আলম (৩২) প্রকাশ ইয়াবা রবিউলকে অবশেষে আটক করছে র‌্যাব-১৫। দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকার পর গত ১৪ এপ্রিল র‌্যাব ১৫-এর হাতে গ্রেফতার হয় রবিউল আলম।
জানা গেছে, ইয়াবা রবিউল কখনো ছাত্র, কখনো আইনজীবী পরিচয় দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্পষ্টে ইয়াবা পাচার করে আজ বিপুল সম্পদের মালিক। তিনি নানা কৌশলে দামী গাড়িতে বিভিন্ন সংস্থার স্টিকার লাগিয়ে ইয়াবার বড় চালান পাচার করে ঢাকা-চট্টগ্রাম সহ বিভিন্ন এলাকায়। এমনই এক চালান পাচার কালে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট ঢাকার তেজগাঁও শিল্প থানায় ইয়াবাসহ পুলিশের হাতে আটক হয়। যার মামলা নাম্বার (৩৭/৩১৬)। এই ঘটনার পর জামিনে বের হয়ে পুনরায় শুরু করে ইয়াবা কারবার।
তার এই অপকর্মে সবচেয়ে সব সহযোগি হলেন তারা মামা স্থানীয় আওয়ামীলীগ নামধারী হামজালাল। এই ইন্দনদাতার হামজালালের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় হত্যা-মাদক সহ একাধিক মামলা রয়েছে। ২০১৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর আজিজুল হক মার্কিন হ্ত্যা মামলার ২ নাম্বার আসামী হলেন হামজালাল। ওই মামলার জিআর নাম্বার হল (৫৯১/১৫)। এছাড়া তিনি ২০১৯ সালের ২৬ জানুয়ারী ৩ হাজার ইয়াবা সহ পুলিশের হাতে আটক হয়। যার মামলা নাম্বার (৫০/৫০)। এই হামজালালের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের লোহাগড়া থানায়ও মামলা রয়েছে।
খবর নিয়ে জানা যায়, রবিউল আলমের পুরো পরিবারই মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। এই অপকর্মে সহযোগি হিসেবে রয়েছেন তার ভাই ফরিদ আলম ও পিতা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যাবসায়ী সিদ্দিক আহম্মদ। গাড়ি নিয়ে মাদক পাচারে সার্বিক সহযোগিতার করেন তার মা রশিদা বেগম।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে ১৮ ডিসেম্বর বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ মা ছেলে তিনজন (রবিউল, ফরিদ ও তার মা রশিদা) ঢাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়। এ ঘটনায় ডিএমপি শাহবাগ থানায় মামলা হয়। যার মামলা নাম্বার (১৮/৪৬৪)
এছাড়া ২০১৮ সালের ২৫ মার্চ দামী গাড়িতে পতাকা লাগিয়ে ইয়াবা পাচারকালে সিএমপি (চট্টগ্রাম) কর্ণফুলি থানার পুলিশের হাতে ৫০ হাজার ইয়াবাসহ আটক হয় রবিউলের গাড়ির ড্রাইভার জসিম উদ্দিন। এইসময় ইয়াবা ব্যবসায়ী সিদ্দিক ও তার দুই ছেলে রবিউল ও ফরিদ পালিয়ে যায়। সম্প্রতি উক্ত মামলাটি সিআইডির হাতে গেলে তাদের তদন্তে উঠে এসেছে কোটি কোটি টাকার লেনদেনের হিসাব। সিআইডি সুস্পষ্ট তদন্ত করে মানিলান্ডারিং মামলা রুজু করেছেন। আটক হওয়া সিদ্দিকের ছেলে রবিউল আলম ওরফে ইয়াবা রবিউল এর বিরুদ্ধে ঢাকা সহ বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা চলমান রয়েছে।
আরো জানা গেছে, তারা এই মাদক ব্যবসা করে ঢাকা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় একাধিক বাড়ি ও গাড়ির মালিক হয়েছে উক্ত ইয়াবা পরিবার। তাদের এসব অপকর্মে কেউ বাধা দিলে হুমকি-মারধর এমনকি খুনখারাপিতেও পিছপা হয়না। তার জ্বলন্ত প্রমাণ তাদের অনৈতিক কাজে বাধা প্রদান করায় ২০১৫ সালে প্রকাশ্য দিবালোকে আজিজুল হক ওরফে মার্কিন কে হত্যা করে। এতে আজিজুল হকের স্ত্রী বিধবা এবং তিন সন্তান এতীম হয়ে যায়। এই ঘটনার ৮ বছর অতিবাহিত হলেও মার্কিন হত্যা মামলাটি জেলা ও দায়রা জর্জ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এই মাদক ব্যবসায়ীরা খুবই প্রভাবশালী। মাদকের টাকা থাকায় তারা সবকিছু টাকা দিয়ে সবকিছু নিয়ন্ত্রন করতে চায়।
এলাকাবাসীর দেওয়া তথ্যে অনুযায়ী আরো জানা যায, রবিউল আলমের বাবা ব্ল্যাকার সিদ্দিক একজন চাঁদের গাড়ির হেল্পার ছিল। একইভাবে তার ভাই ফরিদুল আলমও চাঁদের গাড়ির হেল্পার ছিলেন। একমাত্র ইয়াবার মাধ্যমে তারা আজ বিপুল সম্পদের মালিক। ওই এলাকায় বাড়ি গাড়িসহ প্রায় ৪ কোটি টাকার স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে তাদের। এই ইয়াবা ব্যবসায়ীর গ্রেপ্তারে আনন্দিত টেকনাফবাসী।

সর্বশেষ - উপজেলা