শনিবার , ৬ মে ২০২৩ | ১৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
  1. blog
  2. Download Firmware
  3. অপরাধ
  4. অর্থনীতি
  5. আইন আদালত
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আরো
  8. ইসলাম
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কক্সবাজার
  11. করোনাভাইরাস
  12. খেলাধুলা
  13. জাতীয়
  14. জেলা-উপজেলা
  15. পর্যটন

টেকনাফের দুর্গম পাহাড়ে র‌্যাবের অভিযান : ছলেহ বাহিনীর প্রধানসহ ৬ সদস্য আটক

প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
মে ৬, ২০২৩ ৮:৪৯ অপরাহ্ণ

কক্সবাজারের টেকনাফে দুর্গম পাহাড় কেন্দ্রিক বিভিন্ন সময়ে অপহরণ ও ডাকাতির অন্যতম হোতাসহ ৬ জনকে আটক করেছে র‌্যাব।

শুক্রবার (৫ মে) সন্ধ্যা ৫টার দিকে টেকনাফের বাহারছড়া পাহাড় এলাকা হতে আটক করেছে র‍্যাব। এসময় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।

আটককৃতরা হলো, ছালেহ বাহিনীর প্রধান হাফিজুর রহমান ওরফে ছলেহ ডাকাত (৩০), নুরুল আলম নূরু (৪০) আক্তার কামাল সোহেল,(৩৭) নুরুল আলম লালু (২৪) হারুনুর রশিদ (২৩), এরিয়াজ উদ্দিন বাপ্পি (১৭)।

শনিবার (৬ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় র‌্যাব ১৫ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কথা জানান আইন ও গণমাধ্যমে শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন।

তিনি জানান, সম্প্রতি সময়ে টেকনাফ অপহরণের প্রবণতা বেড়েছে। এটি গণমাধ্যমের মাধ্যমে জানতে পারলে আমরা গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করি। আমাদের কাছে খবর আসে ছলেহ বাহিনী অপহরণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে আমরা গৃহহীন পাহাড়ে অভিযান পরিচলনা করি। এসময় ছলেহ বাহিনীর প্রধানসহ ৬জনকে আটক করতে সক্ষম হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ১টি বিদেশী পিস্তল, ৫ রাউন্ড গুলি, দেশীয় তৈরী ৩টি একনলা বড় বন্দুক, ২টি একনলা মাঝারি বন্দুক, ৬টি একনলা ছোট বন্দুকসহ মোট ১১টি দেশীয় তৈরি বন্দুক, ১৭ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ৪ রাউন্ড খালি কার্তুজ, ২টি ছুরি ও ৬ টি দেশীয় তৈরি দা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

তিনি আরো জানান, আটককৃতরা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেন, টেকনাফের দূর্গম পাহাড়ে অবস্থান করে হাফিজুর রহমান ওরফে ছলেহ ডাকাতের সরাসরি নেতৃত্বে এই চক্রটি অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়, মাদক ব্যবসাসহ অন্যান্য অপরাধ কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। তার এই সন্ত্রাসী দলে সদস্য সংখ্যা রয়েছে ১২/১৫ জন।

ছলেহ এর নেতৃত্বে এই সন্ত্রাসী দলটি টেকনাফের শালবাগান পাহাড়, জুম্মা পাড়া ও নেচারি পার্ক।
এলাকা, বাহারছড়া ইউনিয়ন এর নোয়াখালী পাড়া পাহাড়, বড় ডেইল পাহাড়, কচ্ছপিয়া পাহাড়
জাহাজপুরা পাহাড়, হলবনিয়া পাহাড়, শিলখালী, হ্নীলার জাদিমোরা, মোচনী পাহাড় এলাকায় অবস্থান করে অপরাধমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করত। কখনও অটোরিক্সার চালক এবং কখনও সিএনজি চালক হিসেবে ছদ্মবেশ ধারণ করে।

বিভিন্ন কৌশলে তারা কক্সবাজারের হ্নীলা, হোয়াইক্যং, উনচিপ্রাং, শামলাপুর, জাদিমোড়া ও টেকনাফের বিভিন্ন এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের টার্গেট করে অপহরণপূর্বক মুক্তিপণ আদায় ও ডাকাতি করতো। এই পর্যন্ত তারা চালকের ছদ্মবেশে অর্ধ শতাধিক লোকজনকে অপহরণ করে মুক্তিপন আদায় করেছে।
প্রশাসনের তৎপরতা ও অভিযান পরিচালনা করলে তারা নিজেদের বাঁচাতে গা ঢাকা দিতে পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমারে চলে যেতেন।
আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানান র‌্যাবের এই কর্মকর্তা।

সর্বশেষ - উপজেলা