টেকনাফ প্রতিনিধি :
টেকনাফে চলতি আমন মৌসুমে বিভিন্ন ইউনিয়নে ১০হাজার ৮শ ২০হেক্টর জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির ধান চাষাবাদে সম্ভাব্য ৫৬৮০৫ মেট্রিকটন ধানের ভাল ফলন দেখা দিয়েছে। চাউল হিসেবে ৩৭৮৭০মেট্রিকটন। এরই মধ্যে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে আমন ধান কাটার মাধ্যমে আমন উৎসব শুরু হয়েছে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলার ১নং হোয়াইক্যং ইউনিয়ন, ২নং হ্নীলা ইউনিয়ন, ৩নং টেকনাফ সদর ইউনিয়ন, ৪নং সাবরাং ইউনিয়ন, ৫নং বাহার ছড়া ইউনিয়ন, সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন, টেকনাফ পৌরসভাসহ মোট ১০ হাজার ৮শ ২০ হেক্টর জমিতে উফশীজাত বিআর-২৩, ব্রি ধান-৩২, ব্রি ধান-৩৩, ব্রি ধান-৩৯, ব্রি ধান-৪১, ব্রি ধান-৪৪, ব্রি ধান-৪৯, ব্রি ধান-৫২, ব্রি ধান-৫৪, ব্রি ধান-৫৬, ব্রি ধান-৬২, ব্রি ধান-৭৩, ব্রি ধান-৭৬, বিনা-৭, পাইজাম ১৬টি প্রজাতি, হাইব্রীড প্রজাতির মধ্যে এরাইজ গোল্ড, স্থানীয় প্রজাতির মধ্যে লেমব্রæ, বিন্নি, লালপাজাম, নুনাসসহ আমন মৌসুমের ধান চাষাবাদ করা হয়। ১০হাজার ৮শ ২০ হেক্টর জমিতে ৫৬৮০৫ মেঃ টন ধানের উৎ এই বিষয়ে হোয়াইক্যং নয়াবাজারের কৃষক আব্দুল মজিদ বলেন, আমি পায়জাম, ভারতীয় প্রজাতির ধান ১০ কানিতে চাষাবাদ করেছি। ইনশল্লাহ ফলন ভাল হয়েছে। রইক্ষ্যংয়ের ওসমান গণি বলেন, আমি আড়াই কানি চাষ করে ভাল ধান পেয়েছি।

২নং হ্নীলা ইউনিয়নের লেচুয়াপ্রাংয়ের কৃষক রফিকুল ইসলাম মুন্সী জানান, আমি বিভিন্ন প্রজাতির ২৪কানি জমিতে ধান চাষ করেছি। ফলন ভাল হয়েছে। পূর্ব পানখালীর খলিল আহমদ বলেন,আমি ২৬ কানিতে ৩৯,৪৯ ও ভারতীয় প্রজাতির ধানের চাষ করে ভাল ফলন পেয়েছি। এখন ধান কাটা চলছে। ৩নং টেকনাফ সদরের কৃষক ফয়েজ জানান, খোরাকের জন্য ৪ কানি জমিতে ভারত পায়জাম ও ২৮নং ধান চাষ করেছি। ভাল ফলন হয়েছে ইনশল্লাহ। ৪নং সাবরাংয়ের ছালামত বলেন, ৪ কানি ভারতী পায়জাম চাষ করেছি। ইনশল্লাহ ফল খুব বেশী হয়েছে। ৫নং বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর উত্তর-পশ্চিম পাড়ার রহমত উল্লাহ বলেন, খোরাকের জন্য আড়াই কানি চাষ করেছি। ভাল ধান হয়েছে।
উপসহকারী কৃষি অফিসার শফিউল আলম জানান, আমরা সার্বক্ষণিক টেকনিক্যাল অফিসার ও মাঠ কর্মীদের মাধ্যমে সার্বক্ষনিক সহায়তা দিয়ে আসছি। আবহাওয়া ভাল থাকায় আল্লাহর অশেষ রহমতে ভাল ফলন হওয়ায় মহান আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. ভবসিন্ধু রায় জানান, আমরা জনবল সংকট কিছুটা কাটিয়ে ১৪জন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা, টেকনিক্যাল অফিসারদের মাধ্যমে উন্নত যন্ত্রপাতি সরবরাহ, প্রশিক্ষণ, যথাসময়ে সার ও বীজ প্রাপ্তি, কাটনাশকের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করণ, কীটনাশক প্রয়োগ, সার্বিক তদারকি, পরামর্শ ও সহায়তার ফলে চাষাবাদকৃত জমিতে ভাল ফলন দেখা দিয়েছে। কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে আমাদের শ্রম ও প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।