সাইফুল ইসলাম, টেকনাফ :
টেকনাফে ভারী বর্ষণ,সতকর্ সংকেত,নদ-নদী ও সাগর উত্তাল থাকায় নৌকা ও ট্রলার দিয়ে মাঝি মাল্লারা মাছ শিকারে যেতে না পারায় বিভিন্ন মাছ বাজারে মাছের চরম আঁকাল দেখা দিয়েছে। বরিবার সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের বিভিন্ন মাছের বাজার ও মাছের হিমাগার পরিদর্শন করে দেখা যায়,নিত্যদিনের চািহদার তুলনায় মাছের বেঁচা-বিক্রি হচ্ছে তুলনামূলকভাবে খুবই কম। যা বিক্রি হচেছ তাও আবার স্বাভাবিকের চেয়ে অনেকগুন বেশি দামে। তবে মাছ বাজারগুলো ঘুরে দেখা যায়,প্রজেক্ট এ উৎপাদিত পাংগাস,খই,তেলাপিয়া মাছের পাশাপাশি মাছের আড়তে হিমায়িত আইর,লইট্যা,পোকা মাছ বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া জাটকা,খই পুঁটি,চিংড়িসহ আরো কিছু কিছু ছোট ছোট মাছ বিক্রি হচ্ছে দ্বিগুণদামে। বাজারে আসা উন্নয়নকর্মী নজির আহমদ জানান,যে চিংড়িমাছ কেজি প্রতি বিক্রি হত ১৫০-২০০টাকায় তা আজ বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৪০০-৪৫০টাকায়,এভাবে খই পুটিঁ,আইর,জাটকা,লইট্যা,খই,হিমায়িত ইলিশসহ অন্যান্য মাছের দাম ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। টেকনাফ উপরের বাজারের মাছ বিক্রেতা বদি আলম ও আবুল জানায়,প্রবল বর্ষণে নদ-নদী ও সাগরের বর্তমান অবস্হা স্বাভাবিক না হওয়াতে মাঝি মাল্লারা ঝুকি নিয়ে মাছ শিকারে না যাওয়ায় বাজারে অন্যান্য দিনের তুলনায় মাছের দাম অনেকটা উর্ধ্বমূখী। তবে ভারী বর্ষণ থেমে গেলে নদ-নদী ও সাগরের অবস্হা স্বাভাবিক হয়ে আসলে মাছের বাজারের এ অবস্হা থাকবে না। এরই মাঝে অনেকে আবার ঝুকি নিয়ে মাছ শিকারে বের হচ্ছেন। এদিকে টেকনাফে সবজি বাজারের অবস্হাও অস্বাভাবিক। টেকনাফের উপর বাজার,ষ্টেশনবাজার পরিদর্শন এসে দেখা যায়, করলা,টমেটো,ঝিংগা,ফল,কচুর লতি, পেপে,লাউ,শিমসহ বিভিন্ন সবজিও বিক্রি হচ্ছে স্বাভাবিকের চেয়ে প্রতি কেজিতে ২০-৩০ টাকা বেশিতে। টেকনাফ উপর বাজারের সবজি ব্যবসায়ী আড়তদার বাবু লিটন জানায়,চকরিয়া,সাতকানিয়া,চিরিংগাসহ যেসব জায়গায় শাক-সবজি উৎপাদিত হত সেসব জায়গায় ভারী বর্ষণের ফলে ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়েছে। পাশাপাশি রাস্তাঘাট পানিতে ডুবে থাকায় ও সবজি বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য যানবাহন পন্য পরিবহন করে টেকনাফে আসতে না পারায় সাময়িক অসুবিধায় পড়তে হয়েছে । তবে এ অবস্হা অচিরেই কেটে যাবে ।