কক্সবাজার আলো :
টেকনাফ উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আহমদের বড় পুত্র হাজী মোস্তাক আহমদকে প্রশাসন বা সাদা পোশাকধারী লোকেরা তুলে নেয়ার প্রতিবাদে রাত ৯ টা থেকে টেকনাফের সমস্ত দোকানপাঠ ও যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তাকে রাত সাড়ে ৮টায় টেকনাফস্থ বাড়ির সামনে থেকে একটি কালো রংয়ের গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে পারিবারিক সুত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা নিশ্চিত করেছে। তবে রাত পৌনে ১২টায় এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন্ আইনশৃংখলা বাহিনী কি গ্রেফতার করেছে বা কারা তুলে নিয়ে গেছে সে বিষয়ে কোন সংস্থার পক্ষ থেকে বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এই মুহুর্তে হাজী মোস্তাক আহমদকে গ্রেফতার করার ঘটনায় টেকনাফ স্টেশনে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। টেকনাফ থানা পুলিশ ও বিজিবির মধ্যে জনতার ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘঠেছে বলে জানা গেছে।
এদিকে টেকনাফ উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আহমদের পুত্র টেকনাফ সদর ইউনিয়নের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হাজী মোস্তাক আহমদকে গ্রেফতার করার ঘটনায় তাৎক্ষণিক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। অতি উৎসাহী কিছু লোক টেকনাফ স্টেশনে দোকান-পাট বন্ধ করার ঘোষণা দিয়ে কয়েকটি দোকান ও গাড়ি ভাংচুর করে। সড়কের বিভিন্ন স্থানে টায়ার পোড়ানো হচ্ছে। টেকনাফ পৌর এলাকা ও মোস্তাক আহমদের পৈত্রিক নিবাস লেংগুরবিল, মিঠাপনিরছড়াসহ বিভিন্ন স্থানে দোকানপাট বন্ধ করার ঘোষণা দিয়ে মাইকিং চলছে। মাইকিং ও উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে টেকনাফ-কক্সবাজার মহাসড়ক, টেকনাফ-কক্সবাজার এলজিইডির সৈকত সড়ক এবং কিছু কিছু অভ্যন্তরীণ সড়কেও যানবাহন চলাচল বন্দ হয়ে যায়। টেকনাফ স্টেশনসহ বিভিন্ন স্থানে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি টহল দিচ্ছে। টেকনাফ-শামলাপুর-কক্সবাজার এলজিইডির সৈকত সড়কের বিভিন্ন স্থানে সড়কের পাশের বড় বড় গাছ কেটে রাস্তায় ফেলে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। টেকনাফবাসীরা জানিয়েছেন, প্রশাসনের লোক হোক বা কোন মানুষ হোক তাকে জনতার সামনে হাজির করতে হবে। আর না হয় অনির্দিষ্টকালের জন্য টেকনাফে আন্দোলন চালিয়ে যাবে।
টেকনাফ থানার ওসি আতাউর রহমান খোন্দকারের সাথে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে তিনি কিছুই জানেন না তবে খোঁজ খবর নিচ্ছেন।