কক্সবাজার আলো ডেস্ক :
রাজধানীর খিলগাঁওয়ে ব্লগার নিলয় হত্যাকাণ্ড পূর্বপরিকল্পিত বলে মনে করছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ-ডিএমপির (অপরাধ) যুগ্ম কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়। শুক্রবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন। কৃষ্ণপদ রায় বলেন, বাসায় ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে নিলয়কে হত্যা করা হয়েছে। এসময় বারান্দায় গিয়ে তার স্ত্রী ‘বাঁচাও’, ‘বাঁচাও’ বলে চিৎকার করেন। কিন্তু কেউ এগিয়ে আসেননি। ‘তার (নিলয়) পিঠে, গলায় ও ঘাড়ে কোপানোর চিহ্ন রয়েছে। বিষয়টি আরও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। হত্যাকাণ্ডের ধরন দেখে মনে হচ্ছে-পূর্বপরিকল্পনা করেই নিলয়কে হত্যা করা হয়েছে।’ বিষয়টি নিয়ে তাদের ফোর্স ও গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনও কাজ করছে বলে জানান তিনি। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি যুগ্ম কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় বলেন, ‘শুনেছি তিনি (নিলয় নীল) ব্লগে লিখতেন। বিষয়টি যাচাই করে দেখা হচ্ছে।’
‘প্রাথমিক তথ্যে জেনেছি- তিন থেকে চার ব্যক্তি বাসায় ঢুকে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। বাসার বাইরে এবং আশপাশেও কেউ পাহারায় ছিল কিনা-তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’
এর আগে শুক্রবার দুপুরে খিলগাঁওয়ের উত্তর গোড়ানে ১৬৭ নম্বর বাসার ৫মতলায় একটি ফ্ল্যাটে ঢুকে নিলয় নীলকে (৪০) হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। স্ত্রী ও বোনকে নিয়ে ওই বাসায় থাকতেন গণজাগরণ মঞ্চের এই সক্রিয় কর্মী। নিলয় ‘নিলয় নীল‘ নামে মুক্তমনা ও ইস্টিশন ব্লগে নিয়মিত লেখালেখি করতেন। পাশাপাশি বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সংগঠনেরও সদস্য ছিলেন তিনি।
খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া জানান, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার (এনজিও) গবেষণা বিভাগে চাকরি করতেন।
এদিকে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার জানান, গত মে মাসে ব্লগার অনন্ত হত্যার বিচার দাবিতে আয়োজিত সমাবেশ থেকে ফেরার পথে মঞ্চের এই একনিষ্ঠ কর্মীকে অনুসরণ করেছিল দু’জন।
ওই সময় স্থানীয় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে গেলে জিডি না নিয়ে পুলিশ তাকে বিদেশ যাওয়ার পরামর্শ দেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।