কক্সবাজার আলো ডেস্ক :
ভোলায় প্রশাসনের ব্যাপক কড়া নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে প্রাইমারী বিদ্যালয়ের সহকারী নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। তবে মোবাইল ফোন বন্ধ করতে না পারায় ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অসাধু উপায় অবলম্বনের দায়ে ৫০জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও জরিমানা প্রদান করেছে মোবাইল কোর্ট।
২৮ আগস্ট বিকাল ৩টায় ভোলার ২২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একযোগে প্রাইমারির সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসন থেকে প্রতিটি কেন্দ্রে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হয়। এছাড়া কেন্দ্রের চারপাশে পুলিশী ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকে। তবে পরীক্ষার্থীদের তল্লাশি না করায় প্রায় পরীক্ষার্থী মোবাইল ফোন নিয়ে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করে। এবং ম্যাসেস ও কানে ব্লুটুথ এর মাধ্যমে প্রশ্নর উত্তর চলে আসে বাহির থেকে। যে কারনে অনেকেরই ২০থেকে ২৫মিনিটের মধ্যে পরীক্ষা শেষ হয়ে যায় বলে পরীক্ষার্থীরা জানান। শুধু তাই নয় কেন্দ্রের চারপাশে মোবাইল ব্যবহারকারীরা ম্যাসেস দিয়ে সহযোগীতা করে তাদের পরীক্ষার্থীদের। শহরের এক পরীক্ষার্থী মাত্র ২০মিনিটে তার পরীক্ষা শেষ হয়। বাহিরে কড়া নিরাপত্তা থাকলেও ভিতরে দ্বায়িত্বরত বিঞ্জ ম্যাজিষ্ট্রেটদের চোখ এরিয়ে মোবাইল নকল করে নিরাপদে। আর এর মধ্যে ম্যাজিষ্ট্রেটগন বেশ শহরের ওবায়দুল হক মহাবিদ্যালয় কেন্দ্রে ৭জনকে মোবাইল ম্যাসেসসহ আটক করে। তবে কিছুক্ষন পর তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়। কোন ধরনের জেল-জরিমানা ছাড়াই। অপরদিকে মোবাইলে ম্যাসেস নকল করার সময় হাতেনাতে আটক হয় ৫০জন পরীক্ষার্থী। যাদের কাছ থেকে জরিমানা আদায় করা হয়েছে একলাখ টাকা।
এবিষয় ভোলার জেলা প্রশাসক মোঃ সেলিম রেজা বলেন,মোবাইলে ম্যাসেস নকলসহ আটক করায় ৫০জনকে জেল-জরিমানা করা হয়েছে। পরীক্ষায় ৯হাজার ৬৯০জন পরীক্ষার্থী অশংগ্রহন করেন।