কক্সবাজার আলো ডেস্ক :
ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড শাখায় রুনা আক্তার (৩৫) নামে এক গ্রাহক ৫০ হাজার টাকার একটি বান্ডিল যাচাই না করে নেয়ার কারণে ৩৯ হাজার ২০০ টাকা গচ্চা খেয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বান্ডিলটির ওপরে নিচে ৫০০ টাকার দু’টি ও ভেতরে ৯৮টি ১০০ টাকার নোট দিয়ে সাজানো ছিল বলে তার অভিযোগ। গ্রাহক রুনা আক্তার সদরপুর উপজেলার চরবিষ্ণুপুর ইউনিয়নের নয়াডাঙ্গী গ্রামের সৌদি প্রবাসী শেখ গফুরের স্ত্রী।
ভুক্তভোগী গ্রাহক জানান, এক সপ্তাহ আগে তার স্বামী সৌদি আরব থেকে অগ্রণী ব্যাংক চরভদ্রাসন শাখায় রুনার অ্যাকাউন্টে ৯০ হাজার টাকা পাঠান। তার সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর ৬৬৭৮। গত ১৮ আগস্ট তিনি দেবরকে গাড়ি কিনে দেয়ার জন্য ব্যাংক থেকে ৯০ হাজার টাকা তুলেন। এর মধ্যে এক হাজার টাকার নোট ছিল ৪০টি মিলে ৪০ হাজার টাকা। আর ১০০টি ৫০০ টাকার নোটের ৫০ হাজার টাকার একটি বান্ডিল দিয়ে ক্যাশিয়ার শাহ আদনান আমিন তাকে ৯০ হাজার টাকা দেন। কিন্তু তিনি রাবারে পেঁচানো আনাম বান্ডিলটি গোনার প্রয়োজন মনে করেননি। বাড়ি গিয়ে টাকার বান্ডিল খুলে দেখেন ৫০ হাজার টাকার বান্ডিলের ওপরে ও নিচে মাত্র দু’টি নোট রয়েছে ৫০০ টাকার আর ভেতরের ৯৮টি নোট ১০০ টাকার। এতে তিনি ৩৯ হাজার ২০০ টাকা গচ্চা খেয়েছেন বলে অভিযোগ।
এ ব্যাপারে ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক হারুন-অর রশিদ বলেন, গ্রাহক টাকা নিয়ে ব্যাংকের বাইরে চলে যাওয়ার পর আমাদের আর দায়ভার থাকে না। তবুও দুই দিন পর্যন্ত আমরা ব্যাংকের সব হিসাব-নিকাশ যাচাই করে দেখার পরও ওই মহিলার অভিযোগের কোনো সত্যতা খুঁজে পাইনি।