প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
মানসিক রোগীদের তহবিল ( মারোত) এর ৩১ তম মানসিক রোগী নিজ পরিবারের মাঝে হস্তান্তর করা হয়। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন র কোতোয়ালি থানার কোরবানিগঞ্জ লালু মাঝির বাড়ীর মৃত মোহাম্মদ হোসাইন এর ছেলে মোহাম্মদ আলম শাহ । মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে তিন বছর আগে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। ঘুরতে ঘুরতে চলে আসে টেকনাফ পৌরসভা এলাকায়, ঘুরাঘুরি করত , লম্বা চুলের আড়ালে তাকে কেউ চিনতে পারেনি, নিয়মিত মারোত এর খাবার নিয়ে খেত। মারোত এর পক্ষ থেকে সম্প্রতি মানসিক রোগীদের পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে আলম শাহ এর পরিচয় কিছুটা জানতে পারেন।
তখন থেকে মারতের সদস্য ও মানসিক হাসপাতাল আহবায়ক হারুন অর রশিদ এককভাবে ঐ মানসিক রোগীকে বিভিন্ন সেবা দিয়ে আসছে, দীর্ঘ পরিশ্রমের পর সে অনেকটা সুস্থ। একটু কথা বলতে পারছে, সে চট্টগ্রাম তার বাড়ি এটুকু বলতে পারে। সে সুত্র ধরে পরবর্তীতে এলাকার লোকজন এবং প্রশাসনিক সহযোগিতায় এলাকার লোকজন এর সাথে যোগাযোগ করা হয়। এলাকায় মাইকিং করে তার পরিবারের সন্ধান পেলে মারতের সাথে যোগাযোগ করে। সে সুত্র ধরে তার ভাই ও আত্নীয়স্বজন তাকে নিতে চট্টগ্রাম থেকে টেকনাফ আসে । এতে তার বড় ভাই মোহাম্মদ কামাল, ছোট ভাই মোহাম্মদ ফারুক, খালাতো ভাই মোহাম্মদ নুর পিতা জাফর আলম ও চাচা মোহাম্মদ জমির উপস্থিত ছিলেন। মারোতের পক্ষ থেকে তাদেরকে রিসিভ করে ভাইদের সাক্ষাতের সময় এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। মানসিক ভারসাম্যহীন ভাইকে পরিবারের কাছে তুলে দেওয়ার সময় সংগঠন এর পক্ষ থেকে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা মানসিক রোগীদের তহবিল ( মারোত) এর সভাপতি আবু সুফিয়ান এর সভাপতিত্বে হাকিম আলী মার্কেটে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সংগঠন এর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক সন্তোষ কুমার শীল, উপদেষ্টা সাইফুল ইসলাম, মানসিক হাসপাতাল আহবায়ক হারুন অর রশিদ, সহসভাপতি ডাঃ ঝুন্টু বড়ুয়া, সেক্রেটারি রাজু পাল, জয়েন্ট সেক্রেটারি মোবারক হোসাইন ভুঈয়া, মোহাম্মদ হোসাইন আমিরী, মোহাম্মদ সেলিম, নজির সওদাগর সহ গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্তিত ছিলেন। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠে।
মারোতকে বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করার জন্য ভিক্টিম এর পরিবার র পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা হয়।
মারোত এর আগে ৩০ জন মানসিক ভারসাম্যহীন রোগিকে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে। মারোতের এমন উদ্যোগকে স্বাগতম জানিয়েছেন এলাকাবাসী।