এম আবু হেনা সাগর,ঈদগাঁও :
বর্তমান সময়ে যান্ত্রিক সত্যতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে পাল তোলা ডিঙ্গি নৌকা। পূর্বেকার দিনে কক্সবাজারসহ নানা স্থানের নদীতে চোখে ভেসে উঠতো নৌকা। হরেক রকম নৌকার মধ্যে আলাদা করে চোখে পড়ত পাল তোলা নৌকা।
পাল উড়িয়ে বাতাসের টানে ভেসে যাওয়া সেসব নৌকার দিন আর নেই। অথচ নৌপথের ছোট ছোট দূরত্বের জন্য তখন ভরসা ছিল এসব নৌকা। সময়ের বিবর্তণ, জৌলুস হারানো নদ-নদীর করুণ অবস্থা আর যান্ত্রিক সভ্যতা বিকাশের ফলে বিলুপ্তির পথে আবহমান গ্রাম বাংলার অন্যতম ধারক ঐতিহ্যবাহী পাল তোলা নৌকা।
হাতে গোনা দু, একটা পালের নাও চোঁখে পড়লেও তাদের নৌকায় আগের মতো আর মানুষ ওঠেনা। মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে নিবিড় ভাবে সম্পৃক্ত ছিল নদী আর পালের নাওয়ের সম্পর্ক। পূবেকার দিনে এ সকল নদীর নৈসর্গ রূপের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছিল সারি সারি নৌকা। এসব নৌকায় ছিল রংবেরঙের পাল। কালের পরিক্রমায় এসব নৌকা এখন অতীত। এখন নদীতে পাল তোলা নৌকার দেখা মিলে না।
একসময় সাম্পন, ডিঙ্গি নৌকাসহ বিভিন্ন ধরণের পালের নাওয়ের ব্যবহার ছিল। যান্ত্রিক সভ্যতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে পাল তোলা নৌকা। কদর নেই মাঝি-মাল্লাদেরও। নৌকায় পাল ও দাঁড়-বৈঠার পরিবর্তে ব্যবহৃত হচ্ছে ডিজেল চালিত ইঞ্জিন।
২৪ অক্টোবর কক্সবাজার সদরের চৌফলদন্ডী ব্রীজ ঘাটে গেলে ইঞ্জিল চালিত বড় বড় বোটের দেখা মিললেও পাল তোলা নৌকা চোখে পড়েনি। চৌফলদন্ডী হয়ে মহেশখালী যাতাযাত করছেন মানুষ বোট নিয়ে।
চৌফলদন্ডী ঘাটের এক প্রবীন মুরব্বী জানান, পাল তোলা নৌকা ছিল পুরনো বাহন। কিন্তু এখন আর এসব নৌকার দেখা নেই।তরুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা ভুলে যাবে পাল তোলা নাওয়ের কথা।