এম.এ.সাবলু হৃদয়, সিলেট : সিলেটের কুমারগাঁওয়ে শিশু সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলার সব আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে এলাকাবাসী। সোমবার রাতে টুকেরবাজারে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এদিকে, রাজনের সকল খুনিদের গ্রেফতারের দাবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে রাজন হত্যা বিচার বাস্তবায়ন সংগ্রাম পরিষদ। সোমবার রাতে সিলেট সদর উপজেলার বাদেয়ালি গ্রামে রাজনের বাড়িতে সংগ্রাম পরিষদের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। টুকেরবাজারে বিক্ষোভ মিছিলে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বৃহত্তর টুকেরবাজার এলাকার বাসিন্দা কাজী জুনেদ আহমদ, মালেক মেম্বার, আব্দুল হাকিম, মোস্তাক আহমদ, অ্যাডভোকেট সৌরভ আরেফিন, গোলাম মোস্তফা জানু, আনছার মিয়া, জাহেদ, মাছুম, জুবায়ের, শাহেদ, আলতাফ মিয়া, শুভ প্রমুখ। এর আগে এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী রোববার রাতে সমাবেশ করে মামলার সব আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশকে ১২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন। এদিকে শিশু শেখ সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলায় আটক ইসমাইল হোসেন আবলুসের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার সকালে সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রে দ্বিতীয় আদালতের বিচারক ফারহানা ইয়াসমিনের আদালতে হাজির করে তাকে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা(আইও) আলমগীর হোসেন। আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (মিডিয়া) মোঃ রহমত উল্যাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, এ ঘটনায় ৫ দিনের রিমান্ডে থাকা প্রধান আসামী মুহিত আলমের স্ত্রী লিপি বেগমকে (৩০) জিজ্ঞাসাবাদশেষে সোমবার রাতে আতœীয়-স্বজনের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে। গত বুধবার সকাল সাতটার দিকে শিশুটিকে এমন নির্যাতন করে লাশ গুমের চেষ্টা করা হয়। ওইদিন সকাল ১১টার দিকে কুমারগাঁও গ্রামের ভেতর মাইক্রোবাসযোগে লাশ গুম করার সময় কেউ একজন উঁকি দিয়ে একটি মাইক্রোবাস থেকে রাজনের লাশ উদ্ধার করেন। এ সময় আসামী মুহিত আলমকে জনতা হাতে নাতে আটক করে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে বুধবার রাতে থানায় গিয়ে পরিবারের সদস্যরা শনাক্ত করেন রাজনের লাশ।
এ ঘটনায় সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের জালালাবাদ থানায় প্রথমে পুলিশ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পরে রাজনের পিতা শেখ আজিজুর রহমান মামলার বাদী হন। মাইক্রোবাসে করে রাজনের লাশ ফেলার সময় হাতেনাতে আটক মুহিতকে মামলার প্রধান আসামী করা হয়েছে। এছাড়া, তার ভাই সৌদি প্রবাসী কামরুল ইসলাম (২৪), অপর ভাই আলী হায়দার ওরফে আলী (৩৪) ও চৌকিদার ময়না মিয়া ওরফে বড় ময়নাকে (৪৫) আসামি করা হয়েছে। সৌদি প্রবাসীরা সোমবার কামরুল ইসলামকে আটক করে সৌদি কনসুলেট অফিসে হস্তান্তর করেন। ওইদিন রাতেই তাকে সৌদি পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়।