মোঃ আশেকুউল্লাহ ফারুকী, টেকনাফ:::::::::::::টেকনাফ মডেল থানার নব-নিযুক্ত অফিসার ইনচার্জ (ও’সি) মোঃ মাঈনুদ্দীন খান বলেছেন, সকল অপকর্ম এবং অপরাধ প্রবনতার মূল উৎসহ হচ্ছে, ইয়াবা বনাম মাদক। টেকনাফ সীমান্ত উপজেলার আইন শৃংখলা পরিস্থিতির অবনতির জন্য ইয়াবা মাদকের পাশাপাশি অবৈধ অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গা নাগরিক অনেকাংশে দায়ী বলে তিনি মনে করেন। সম্প্রতি নব-নিযুক্ত টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ও’সি) মোঃ মাঈনুদ্দীন খান দপ্তরে দৈনিক কক্সবাজার ৭১ কে দেয়া একান্ত আলাপ চারিতায় তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। তিনি আরো বলেন, পুলিশ হচ্ছে। জনগণের বন্ধু এবং জানমালের নিরাপত্ত প্রদানকারী। পুলিশ শত ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে জনগণকে সেবা দিয়ে আসছে। সেবা দিতে পুলিশের অনাকাংখিত কিছু ক্রটি হবে। তাই বলে ঢালাওভাবে সমালোচনা করা যাবেনা। ভালকাজ করতে গিয়ে অজান্তে কিছু ক্রটি হলেও পুলিশ অনেক সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অপরাধ দমনে কাজ করে থাকে। অপরাধ দমনে পুলিশের পাশাপাশি দেশের একজন নাগরিক হিসাবে যতেষ্ঠ দায়িত্ব রয়েছে। তা হচ্ছে, অপরাধ দমন এবং আইন শৃংখলা উন্নয়নে সহযোগিতা প্রদান করা। এটি শুধু মাত্র পুলিশের একা দায়িত্ব নয়। দেশ ও জাতীর স্বার্থে এ কাজে জাতিধর্ম নির্বিশেষে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। ও’সি মোঃ মাঈনুদ্দীন খান আরো বলেন, ইয়াবা মাদক এটি হচ্ছে, মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের এবং রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ সমস্যা সীমান্ত রক্ষীদের বিষয়। এ দুইটি সমস্যার কারণে টেকনাফে নানা অপকর্ম এবং অপরাধ প্রবনতা বাড়ছে এবং সেই সাথে আইন শৃংখলা পরিস্থিতি অবনতি ও ঘটছে। পুলিশ এ নিয়ে সদাসর্বদা ব্যস্ত থাকতে হয় এবং অন্যান্য অপরাধদমন ও মামলা এবং কাজের চাপে হিমশিম খেতে হয়। এর পরও পুলিশ জনস্বার্থে এ দায়িত্ব পালন করেই যাচ্ছে। ইয়াবা, মাদক ও রোহিঙ্গা এ দুইটি সমস্যা নিয়ে পুলিশ বিব্রতর অবস্থার মধ্যে রয়েছে। ইয়াবা বা মাদকের কালোটাকার পেশি শক্তির দাপটের প্রেক্ষিতে দুর্বলের উপর সবলের অত্যচার চলছে। তারই প্রভাবে জায়গা জমি জবরদখল, নারী নির্যাতন, অবাধ্যপুত্র একাদিক বিবাহ প্রবনতা ও হত্যার হুমকি মামলা বাড়ছে। ও’সি মোঃ মাঈনুদ্দীন খান আরো বলেন, অপরাধীরা যেই দলেরই হউক না কেন? তাদেরকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে। এতে কোন প্রকার সন্দেহ নেই। সুতারাং আইন শৃংখলা উন্নয়ন এবং দেশ ও জাতীর স্বার্থে ইয়াবা বা মাদক ব্যবসায়ীদের কোন মতেই ছাড় দেয়া যাবেনা। ইতিপূর্বে কক্সবাজার টেকনাফ মেরিন ড্রাইব সড়ক উদ্বোধন কালে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা বলে ছিলেন, ইয়াবা ব্যবসায়ীদের কোন মতেই ছাড় দেয়া যাবেনা এবং অতি সম্প্রতি নব-নির্মিত টেকনাফ মডেল থানা ভবন উদ্বোধন শেষে টেকনাফ হাইস্কুল মাঠে এক অনুষ্ঠানে পুলিশের আইজি মহা পরিচালক একে এম শহীদুল ইসলাম বলেন, ইয়াবা এবং হুন্ডি ব্যবসায়ীদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে নির্দেশ দিয়েছেন। তারই নির্দেশের প্রেক্ষিতে পুলিশ এদের পাকডাও করতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। এদিকে রমজান ও ঈদ উপলক্ষে ভোক্তাদের বাজারে নিরাপত্তা নিশ্চিৎ করতে পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।