কক্সবাজার আলো ডেস্ক :
বান্দরবানের থানছি উপজেলায় রেমাক্রী ইউনিয়নের বড় মদক সীমান্ত এলাকায় গতকাল রাত থেকে যৌথ বাহিনী শক্ত অবস্থান ও আকাশ পথে হেলিকপ্টারে টহল করায় নিজেদের গুটিয়ে নিয়ে পিছু হটেছে আরাকান রাজ্যের আরাকান লিবারেশন পার্টি ও আরাকান আর্মি।
বিজিবি সূত্র জানায়, থানচি উপজেলায় সীমান্ত গোলাগুলির ঘটনাস্থলে আলীকদম সেনা জোন এবং বলিপাড়া ৩৩ বিজিবি ব্যাটালিয়ান থেকে কয়েক দফায় সেনাবাহিনী ও বিজিবি’র সদস্য পাঠানো হয়। দূর্গম এলাকা হওয়ায় ঘটনাস্থলের উপরে হেলিকপ্টার থেকে টহল অব্যাহত রয়েছে। যৌথ বাহিনী কর্তৃক স্থানীয়দের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে সতর্কতা জারী করা হয়েছে।
এখনো বড় মদক বাজার ও লোকজন বাসার মধ্যেই অবরুদ্ধ আছে। থানচি উপজেলা প্রশাসন থেকে তিন্দু, রেমাক্রী ও বড় মদক এলাকায় সড়ক ও নৌ-পথে যাতায়াত বন্ধ রাখা হয়েছে।
বলিপাড়া বিজিবি সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাতে বান্দরবান ও রাঙামাটির মধ্যবর্তী রাজস্থলী উপজেলার তাইধং পাড়ায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ ৫ ঘণ্টা যৌথ অভিযান চালিয়ে মিয়ানমারের আরাকান আর্মির এক সহযোগীকে আটক করা হয়েছে।
আটক অং ইউ ইয়াং রাখাইন (২০) এর জিম্মায় থাকা ৩টি ল্যাপটপ, ২টি ডিজিটাল ক্যামেরা, ১টি হ্যান্ডিক্যাম, ২টি ঘোড়া, ৩সেট আরাকান আর্মি পোশাক, ৩০গজ খাকি কাপড়, ১টি মোটর সাইকেলসহ নানান সরঞ্জাম পাওয়া গেছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টার পর হেলিকপ্টারযোগে বান্দরবানের থানচি রেমাক্রি বড় মদক ঘটনাস্থলে সার্বিক পরিস্থিতি ও ঘটনা পর্যবেক্ষণ করতে গেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ও বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ। গোলাগুলির ঘটনার পর বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে স্পর্শকাতর জায়গাগুলোতে যৌথ বাহিনীর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। বিজিবি সতর্কাবস্থায় থেকে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রেখেছে বলে জানান থানচি চেয়ারম্যান ক্যউ হ্লা চিং মার্মা। ।