ইমরান হোসাইন, পেকুয়া :
পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) মারুফুর রশিদ খানের সদিচ্ছা ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে এবং সমাজের বিভিন্ন বিত্তশালী ব্যক্তির অর্থায়নে এবার প্রাণ ফিরে পাচ্ছে কোহেলিয়া খাল। এ উদ্যোগের জন্য ইউএনওকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক, সাস্কৃতিক, সুশীল সমাজ ও ব্যবসায়ী মহল।
উপজেলার বিভিন্ন মরা, নাব্যতা হারানো এবং বেদখল হয়ে যাওয়া খালসমূহ নতুন করে খনন করার কর্মসূচি হিসেবে তিনি এসব খাল পূণঃখনন করছেন। উল্ল্যেখ, তিনি এর আগে বন্যায় নাব্যতা হারানো পেকুয়া সদর ইউনিয়নের বলিরপাড়াস্থ মইগ্যার ঘোনা খাল সংস্কার করার মাধ্যমে প্রায় দশ হাজার একর জমিকে চাষাবাদের উপযোগী করে দেন।
উপজেলার প্রধান ব্যস্ততম বাজার পেকুয়া বাজারের পাশে থেকে শুরু হয়ে পেকুয়া উপজেলা সদর চৌমুহনী বাজার হয়ে উপজেলা পরিষদের সামনে দিয়ে টেকপাড়া-নন্দীর পাড়া দিয়ে প্রবাহিত হয়ে মাতামুহুরির সাথে মিলিত হয় এ কোহেলিয়া খাল। বেশ কয়েক বছর যাবৎ এ খালটিতে বাজারের ময়লা-আবর্জনা পড়ে এবং অবৈধ দখলদাররা কৃত্রিমভাবে খাল ভরাট করে দখল করে নেয়। আর এই খালকে দখল মুক্ত করতে এবং নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে নেয়া হয়েছে এই উদ্যোগ।
আজ বুধবার(০৬জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করা হয় এর খনন কাজ। এসময় উপস্থিত ছিলেন পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মারুফুর রশিদ খান, পেকুয়া সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বাহাদুর শাহ, জাতীয় পার্টি পেকুয়া উপজেলা আহবায়ক এস এম মাহাবুব ছিদ্দিকি, যুগ্ন আহবায়ক এম দিদারুল করিম, জাতীয় যুব সংহতির পেকুয়া উপজেলা আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম, স্থানীয় সাংসদের একান্ত সচিব নাজিম উদ্দিন, পেকুয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি সফওয়ানুল করিমসহ স্থানীয় সংবাদকর্মীরা।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মারুফুর রশিদ খান বলেন, এই উদ্যোগটি আমাদের আরো আগে নেওয়া উচিৎ ছিল, কিন্তু আমরা এখন নিয়েছি। যার সুফল পেকুয়াবাসী খুব শীঘ্রই পাবে। বর্তমানে খনন কাজ পেকুয়া বাজার সংলগ্ন খালে চলছে, যা পর্যায়ক্রমে চৌমুহনী হয়ে সম্পুর্ণ খাল খনন করা হবে।