পেকুয়া প্রতিনিধি :
পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের ফাসিয়াকালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় যেন গরু রাখার গোয়াল ঘর ! স্থানীয় সচেতন মহল জানান, প্রধান শিক্ষিকা আবু পারভিন বিদ্যালয়ে গরু রাখার জন্য ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে অনমতি দিয়েছেন। যে কারণে বিদ্যালয়টি গোয়াল ঘরে পরিনত হয়েছে। তারা আরো জানান, স্থানীয় গরু ব্যবসায়ী নুর মোহাম্মদ ও মুবিন এসব গরু বিদ্যালয়ে রাখেন।
খোদ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা গরু রাখার অনুমতি দেয়াতে স্থানীয় সচেতন মহলের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্ঠি হয়েছে। বারবাকিয়া ৬নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মুবিন, সাঃ সম্পাদক মাহাবু, আওয়ামীলীগের সাঃ সম্পাদক ইদ্রীস ও স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা পারভেজ অভিযোগের সাথে জানান, বিগত ২দিন ধরে স্কুলে গরু রাখার ফলে স্কুলের পরিবেশ নষ্ঠ হচ্ছে। কোমলমতি শিক্ষার্থীরা গরুর ভয়ে স্কুলে যেতে পারছে না। শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে এই রকম একটি কান্ডজ্ঞানহীন কাজ করা প্রধান শিক্ষিকার মোটেও উচিত হয়নি। এব্যাপারে তারা উদ্ধতন মহলের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
এই বিষয়ে ফাসিয়াকালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা পারভিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, টাকা নেওয়ার বিষয়টি ভিত্তিহীন। গরুর মালিকরা বিপদে পড়ায় তাদের মাত্র এক ঘন্টার জন্য গরু রাখার অনুমতি দিয়েছি মাত্র।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা(ভারপ্রাপ্ত) হাসান মুরাদ জানান, তিনি খোঁজ নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন।