অ্যাস্টন ভিলা ও টটেনহামে খেলার কারণে এমিলিয়ানো মার্তিনেজ, ক্রিস্টিয়ান রোমেরো, এমিলিয়ানো বুয়েন্দিয়া ও জোভান্নি লো সেলসোর কেউই ১৪ দিনের এই কোয়ারেন্টিন পালন করেননি। তাঁরা ইংল্যান্ড থেকে প্রথমে পা রেখেছেন আর্জেন্টিনায়। সেখান থেকে তারা ভেনেজুয়েলায় ম্যাচ খেলে পা রেখেছেন ব্রাজিলে। আর্জেন্টিনা ও ভেনেজুয়েলায় যদি তাঁরা ১৪ দিন কাটিয়ে আসতেন তাহলে আর আইন তাঁদের আটকাতে পারত না বলেই জানিয়েছে সাও পাওলোর স্বাস্থ্য বিভাগ। এই নিয়েই গত দুদিন ধরে সংশয়ে ছিল আর্জেন্টিনা।
ম্যাচ শুরুর আগেও পরষ্পরবিরোধী খবর পাওয়া যাচ্ছিল। ব্রাজিলের জাতীয় স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধান এজেন্সি ‘আনভিসা’র বরাত দিয়ে সাংবাদিক স্যাম স্ট্রিট জানিয়েছিলেন, ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচ শুরুর মাত্র দুই ঘন্টা আগে চারজন আর্জেন্টাইন খেলোয়াড়কে দেশ ছাড়ার আদেশ দিয়েছে ব্রাজিল। ওদিকে আর্জেন্টিনাভিত্তিক সংবাদমাধ্যম টিএনটি স্পোর্ত ও টিওয়াইসি স্পোর্তের গাস্তন এদুল জানিয়েছিলেন, এতকিছুর পরেও ম্যাচ খেলতে পারবেন এই চারজন। টিওয়াইসি স্পোর্ত জানিয়েছিলেন, দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা কনমেবল আর্জেন্টিনার ফুটবল সংস্থাকে আশ্বস্ত করেছে, চার তারকা ঠিক সময়ে স্টেডিয়ামের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবেন বাকি সতীর্থদের সঙ্গেই। খেলবেন ব্রাজিলের বিপক্ষে।
টিওয়াসি ও টিএনটি স্পোর্তের খবরই সত্যি হয়েছিল। মাঠে নেমেছিলেন মার্তিনেজ, রোমেরো ও লো সেলসো। সাত মিলিটের খেলা হয়েও গিয়েছিল। এরপরেই মাঠে হানা দেন ব্রাজিলের স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধান এজেন্সির কর্তারা। সঙ্গে আসেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্যও। আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়দের সঙ্গে তাঁদের হাতাহাতিও হয়। ওদিকে লিওনেল মেসিকে দেখা যায় ব্রাজিল কোচ তিতে, অধিনায়ক নেইমার ও আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনির সঙ্গে আলোচনা করতে।
কিছুক্ষণ পর মাঠ ছেড়ে ড্রেসিংরুমে চলে যান আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়েরা। ব্রাজিলের খেলোয়াড়েরা কিছু বুঝতে না পেরে মাঠেই ঘোরাঘুরি করতে থাকেন। ড্রেসিংরুমে ব্রাজিলের রাইটব্যাক দানি আলভেসের সঙ্গে কথাবার্তা বলতে দেখা যায় মেসিকে। রেডিও কন্তিনেন্তালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেসি নিজের অসন্তোষের কথাও জানিয়েছেন বেশ ভালোভাবে, ‘আমরা ব্রাজিলে তিন দিন ধরে অবস্থান করছি। ওরা তাহলে ম্যাচ শুরু হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করল কেন?’