
“মাননীয় মন্ত্রীরা আপনারা যে দলেরই হোক না কেন, মন্ত্রী হয়ে সংসদে যখন বলেন, তখন তার দায়-দায়িত্ব তো প্রধানমন্ত্রীকেও নিতে হয়। এটা চিন্তা ভাবনা করবেন, যাতে আমরা বিব্রত না হই,” সোমবার সংসদে বলেছেন সাবেক এই মন্ত্রী।
দুদিন আগেই সংসদে জাসদ সভাপতি ইনু বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নিয়ে কথা বলেন। তা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে বিএনপি বলেছে, আদালতের রায় কী হবে তা এখন মন্ত্রীরাই বলে দিচ্ছে।
২০১৩ সালের নির্বাচন বর্জন করে সংসদের বাইরে থাকা খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কয়েকটি দুর্নীতির মামলা বিচারাধীন। খালেদাকে রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে বের করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এই মামলাগুলো করা হয়েছে বলে বিএনপির দাবি।
সুরঞ্জিত বলেন, “আমরা সংবিধানের শাসনে বিশ্বাস করি। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট, ২১ অগাস্ট এগুলোর বিচার হবেই। বিচার যেটা হবে, সেটা হবে, বিচার বিভাগ আলাদা।” জোট শরিক দল জাসদের সভাপতি ইনুর বক্তব্যের দিকে ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য সুরঞ্জিত বলেন, “এই প্রজাতন্ত্রে আমি নির্বাচন করতে পারব, কি পারব না, কবে করব, কি করব না- এই সিদ্ধান্ত তো সংসদ দেবে না। “তার জন্য আদালত আছে, উচ্চতর আদালত আছে, তার জন্য নির্বাচন কমিশন আছে, তার জন্য সংবিধান আছে।”
“আমাদের প্রধানমন্ত্রী দিনরাত কষ্ট কইরা কাজ করতেছেন, তিনি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন বলেই গণতন্ত্রের জন্য জীবন বাজি রাইখ্যা কাজ করতেছেন। গণতন্ত্রই আমাদের প্রধান কথা। গণতন্ত্রের বাইরে আমরা কোনো কথা বলব না,” বলেন তিনি।
এই প্রসঙ্গে প্রবীণ এই রাজনীতিক আরও বলেন, “পলিটিকাল ডিক্লারেশন দিয়ে কাউকে আনট্রিট করা যায় না। ‘৫৮ সালে আইয়ুব খান করছে, তার বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু বাঘের মতো গর্জ কইরা ডাক দিছিলেন, ছাত্রসমাজ দাঁড়াইছিল।”