সোমবার , ২৯ জুন ২০১৫ | ১১ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আরো
  6. ইসলাম
  7. এক্সক্লুসিভ
  8. কক্সবাজার
  9. করোনাভাইরাস
  10. খেলাধুলা
  11. জাতীয়
  12. জেলা-উপজেলা
  13. পর্যটন
  14. প্রবাস
  15. বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি

নামাজ রোজা আর খোশগল্পে সময় কাটছে সালাহ উদ্দিনের

প্রতিবেদক
কক্সবাজার আলো
জুন ২৯, ২০১৫ ২:০৫ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশ প্রতিদিন :

শর্ত সাপেক্ষে জামিনে মুক্ত হয়ে তিন সপ্তাহ ধরে ভারতের শিলংয়ের একটি ডুপ্লেঙ্ বাসায় আছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ। বাসার ভিতর নামাজ আদায়, রোজা পালন এবং দেশ থেকে যাওয়া নেতা-কর্মী ও স্বজনদের সঙ্গে খোশগল্প করে সময় কাটছে তার। সময় পেলে মাঝেমধ্যে বাসার বাইরে বের হচ্ছেন। তবে তার বিচরণ শিলং শহরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে। আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় শিলংয়ের বাইরে যেতে পারছেন না তিনি। নিয়মিত চিকিৎসায় তার হার্ট, কিডনি, মূত্রনালি ও চর্মরোগ নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে দুই দিন ধরে বেড়ে গেছে কোমরের ব্যথা। সালাহউদ্দিনের আত্দীয় কলকাতার বাসিন্দা আইয়ুব আলী ও শিলংয়ের একাধিক সূত্র থেকে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। আইয়ুব আলী জানান, সালাহউদ্দিন শিলং ক্যান্টনমেন্টের পাশে ভাড়া ডুপ্লেঙ্ বাসায় খোশমেজাজেই রয়েছেন। প্রতিদিন দেশ থেকে যাওয়া নেতা-কর্মীদের সঙ্গে তিনি খোশগল্প করছেন। হাসিঠাট্টায় মেতে উঠছেন তাদের সঙ্গে। তবে তিনি ‘নিখোঁজের’ দুই মাস সময়ের ব্যাপারে নেতা-কর্মীদের কোনো প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন না। নিখোঁজের ঘটনাটি তিনি মন থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করছেন। আইয়ুব আলী বলেন, সালাহউদ্দিনের শারীরিক অবস্থা আগের তুলনায় অনেক ভালো। তিনি নিয়মিত চিকিৎসকদের শরণাপন্ন হচ্ছেন। মাঝেমধ্যে অনলাইনে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের চিকিৎসকদেরও পরামর্শ নিচ্ছেন তিনি। নামাজ ও রোজার পাশাপাশি সময় কাটাচ্ছেন তিলাওয়াত করে। নিয়মিত তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় ও নফল ইবাদত-বন্দেগি করছেন বিএনপির এই যুগ্ম-মহাসচিব। সালাহউদ্দিনের সঙ্গে অবস্থানকারী তার এক নিকটাত্দীয় জানান, দেশ থেকে তার স্বজনরা পালাক্রমে শিলং যাচ্ছেন। দলীয় নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি সালাহউদ্দিনকে সময় দিচ্ছেন তারাও। যথাসাধ্য তার সেবা-যত্ন করছেন। কঙ্বাজারের সাবেক সংসদ সদস্য লুৎফুর রহমান কাজল শিলংয়ে দেখতে যান সালাহউদ্দিনকে। ২২ জুন কাজলকে নিয়ে শিলংয়ের গলফ লিংক রোডে যেখানে অপহরণকারীরা তাকে ছেড়ে গিয়েছিল সেখানে যান সালাহউদ্দিন। তিনি ওই এলাকা ঘুরে দেখেন এবং কাজলের কাছে স্মৃতিচারণা করেন। এ সময় আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন তিনি। সূত্র জানায়, শিলংয়ে তিন বেড, এক ড্রয়িং ও এক ডাইনিং রুমের ভাড়া ডুপ্লেঙ্ বাড়িতে সালাহউদ্দিনকে রাখা হয়েছে নজরদারিতে। সেখানকার গোয়েন্দা পুলিশ সালাহউদ্দিন ও তার সঙ্গে দেখা করতে আসা লোকজনের ওপর নজরদারি করছে। গোয়েন্দারা তার নিরাপত্তার ব্যাপারে বিশেষ নজর দিচ্ছেন। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী সালাহউদ্দিন প্রতি সপ্তাহে একবার শিলং পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে গিয়ে হাজিরা দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন আইয়ুব আলী। প্রসঙ্গত, ১০ মার্চ ঢাকা থেকে ‘নিখোঁজ’ হন সালাহউদ্দিন। নিখোঁজের প্রায় দুই মাস পর ১১ মে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলংয়ের গলফ লিংক রোড থেকে তাকে আটক করে সেখানকার পুলিশ। প্রথমে মানসিক রোগী ভেবে পুলিশ তাকে শিলংয়ের মিমহ্যান্স মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করে। তার পরিচয় জানার পর তাকে পরদিন শিলং সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য ২০ মে তাকে শিলংয়ের নেগ্রিমস হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ২৬ মে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হলে ২৭ মে তাকে তোলা হয় আদালতে। শিলং আদালতের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সালাহউদ্দিনকে ১৪ দিন বিচারিক হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। ওই রাতেই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে পরদিন তাকে আবারও নেগ্রিমস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে করা মামলায় সালাহউদ্দিনের বিরুদ্ধে ৩ জুন আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ। ৫ জুন শিলংয়ের নিম্ন আদালতের বিচারক ভি মৌরি শর্ত সাপেক্ষে সালাহউদ্দিনের জামিন মঞ্জুর করেন। ৮ জুন তিনি হাসপাতাল থেকে ভাড়া বাসায় ওঠেন। ১০ জুন মামলার ধার্য তারিখে সালাহউদ্দিনের জামিন বহাল রাখেন আদালত।

সর্বশেষ - কক্সবাজার

https://coxsbazaralo.com/