এফ এম সুমন,পেকুয়া কক্সবাজার :
উপকুলীয় জেলা কক্সবাজারের পেকুয়ায় ১৯৯৯ সালের সংগঠিত বন্যার পর ২য় বারের মতো কোন বন্যা গত বৃহস্পতিবার থেকে টানা এখনো ৪দিন বেড়িবাঁধ ভেঙে ইতিহাসের ভয়াবহ বন্যা আঘাত হানে।গৃহহীন হয়ে পড়ে পেকুয়া উপজেলার পেকুয়া সদর ইউনিয়নের প্রায় ৩০০০ হাজার মানুষ।১৭টি আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেয় প্রায় ২০০০ হাজার মানুষ।গবাদি পশু গরু ছাগল হাস মুরগি সরাতে গিয়ে মানুষ পড়ে শংকায়।পুকুরের ও মতস্যঘেরের লাখ লাখ টাকার মাছের ক্ষয়ক্ষতি হয়।প্রায় ২০০০ হাজার ঘর বাড়ি পানির নিচে চাপা পড়ে।স্থানীয় প্রশাসন মানুষ সরাতে সামান্য ব্যাবস্থা নিলেও তা প্রকৃত পক্ষে অপ্রতুল।বন্যার পানি সামান্য নামতে শুরু করলে ও এখনো মানুষ পানি বন্দি।বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্র সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় মানুষের আহাজারি সবাই সরকারের সহযোগিতা ও বেসরকারি সংস্থার সাহায্যের দিকে অনাত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন।তবে স্থানীয় কিছু গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ সামান্য চিড়ামুড়ি দিলে ও তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেকটাই অপ্রতুল।বন্যাপেড়িত কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায় পেকুয়া গোয়াখালীর ব্যাবসায়ী ইউনুস বলেন,বাঘগুজারা যে বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি ঢুকে ত বেশি যায়গা নয় প্রশাসনের সজাগ দৃষ্টি থাকলে তা মেরামত সম্ভব।যদি ও বা প্রশাসন এ ব্যাপারে সজাগ নয়। তবে এখন মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।তবে সামান্য পানি কমায় ভাংগা বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছেন কিছু কিছু মানুষ।তবে প্রশাসনের পাশপাশি বিভিন্ন এনজিও ও বেসরকারি কোন সংস্থা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলে অন্তত বন্যা পেড়িত মানুষের কিছুটা দুঃখ লাগব হবে।