সংবাদ সম্মেলনে মাওলানা আতাউল্লাহ বলেন, দলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক ২০১৪ সালের ২৯ নভেম্বর নূরিয়া মাদরাসায় খেলাফত আন্দোলনের মজলিসে শূরা (কাউন্সিল) অধিবেশনে তাকে খেলাফত আন্দোলনের আমির ও মাওলানা মো: জাফরুল্লাহ খানকে মহাসচিব নির্বাচিত করা হয়। ওই অধিবেশনেই তার বড় ভাই মাওলানা শাহ আহমাদুল্লাহ আশরাফ তার (আতাউল্লাহ) মাথায় পাগড়ি প্রদান করেন। ওইদিনই নতুন আমির ও মহাসচিবের অভিষেক ঘোষণা করা হয়। এবং ওই সূত্রে পদাধিকার বলে তিনি (আতাউল্লাহ) জামিয়া নূরিয়ার প্রিন্সিপালের দায়িত্বগ্রহণ করেন।
তিনি বলেন, মাওলানা হাবিবুল্লাহ তার পিতার ক্ষমতার বলে মাদরাসায় ইতিপূর্বে সন্ত্রাসী কর্মকা- চালিয়েছেন। তার হামলায় মাদরাসার শিক্ষক ও খেলাফত আন্দোলনের নেতা মাওলানা সাজেদুর রহমান ফয়েজীর হাত ও মাওলানা আবু জাফর কাসেমীর পা ভেঙ্গে যায় এবং মুফতি ফখরুল ইসলামের মাথা ফেটে যায়। এ ব্যাপারে তার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা হয় এবং কয়েকবার মাদরাসার চাকরি থেকে পদচ্যুতও হয়। একটি মামলায় তার পিতা মাওলানা আহমাদুল্লাহ আশরাফই স্বয়ং সাক্ষী হন। কিন্তু এরপরেও হাবিবুল্লাহর বেপরোয়া আচরণে কোনো পরিবর্তন আসেনি। এ জন্যই গত কাউন্সিল অধিবেশনে দলের মহাসচিব পদে নির্বাচনে দাঁড়িয়ে তিনি মাত্র এক ভোট পেয়ে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হন।
খেলাফত নেতা বলেন, বর্তমানে দলের ও মাদরাসার নতুন নেতৃত্ব আসার পর হাবিবুল্লাহ মিয়াজীর বিগত দিনের ক্ষমতার অপব্যবহার ও অর্থআত্মসাতের বিচারের ভয়ে সে খেলাফত ও মাদরাসার ক্ষমতা ছিনতাইয়ের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেছেন। তার এই ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ও ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপালের মিথ্যা দাবি ক্ষমতা লোভী অর্বাচীনের প্রলাপ ছাড়া আর কিছুই না। মাদরাসার একজন কর্মচারী হাবিবুল্লাহ মিয়াজী শুধুমাত্র পারিবারিক ক্ষমতার বলে মিথ্যা ও ভূয়া বিবৃতি দিয়ে প্রতারণামূলকভাবে মতলব হাসিলের কারসাজি চালিয়ে যাচ্ছে। দেশবাসীকে এ ব্যাপারে সতর্ক থাকার জন্য আমরা আহ্বানও জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মাওলানা জাফর উল্লাহ খান লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের নায়েবে আমির শাইখুল হাদীস আল্লামা সোলাইমান নোমানী, মাওলানা আবু জাফর কাসেমী, মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ আশরাফ, মাওলানা সাজেদুর রহমান ফয়েজী, মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, মুহাম্মাদ আজম খান, মুফতি ফখরুল ইসলাম, মাওলানা সাইফুল ইসলাম সুমাগঞ্জী, মুফতি এনায়েতুল্লাহ, হাফেজ মাওলানা আবু তাহের, মাওলানা আবুল কাসেম কাসেমী, রফিকুল ইসলাম বাবুল, মাওলানা মুহাম্মদ হোসাইন আকন্দ, আলী মাকসুদ খান মামুন ও রহমত উল্লাহ সানী প্রমুখ।