এম. আবুহেনা সাগর, ঈদগাঁও : মালয়েশিয়া পাচার হতে গিয়ে থাইল্যান্ড পুলিশের হাতে আটক ঈদগাঁওয়ের ৭ হতভাগা অবশেষে এলাকায় ফিরেছে। গত ৮ জুলাই বুধবার বিশেষ ফ্লাইটে থাইল্যান্ড থেকে ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌছলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহায়তায় ৯ জুলাই বৃহষ্পতিবার সকালে তারা নিজ বাড়ীতে পৌছে। সম্প্রতি মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডে গণকবরের সন্ধান মিললে পাচার হওয়াদের আত্মীয়-স্বজনরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। থাইল্যান্ড সরকার আটককৃতদের স্বদেশে ফেরত পাঠাতে বাংলাদেশ দূতাবাসের সহযোগিতা চাইলে সরকার তাদের তালিকা স্ব স্ব এলাকার পুলিশ প্রশাসনের নিকট প্রেরণ করে। পুলিশের প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী ফিরে আসা উক্ত সাত জন হচ্ছে ঈদগাঁও ইউনিয়নের মধ্যম শিয়াপাড়ার আজহার মিয়ার পুত্র আবদুল আজিজ, ইসলামাবাদ ইউনিয়নের গজালিয়ার নুরুল হকের পুত্র জাহেদুল ইসলাম, জালালাবাদ ইউনিয়নের পূর্ব ফরাজী পাড়ার শামসুল আলমের পুত্র বোরহান উদ্দীন, পূর্ব ফরাজী পাড়ার ছগির আহমদের পুত্র রবিউল আলম, পোকখালী ইউনিয়নের পশ্চিম পোকখালী ফরাজী ঘোনার খলিলুর রহমানের পুত্র রবি, পশ্চিম পোকখালীর খোরশেদ আলমের পুত্র নুর নবী, ইসলামপুর ইউনিয়নের হাজিপাড়ার মোঃ হারুনের পুত্র মান্নান, ভারুয়াখালী ইউনিয়নের বড় চৌধুরী পাড়ার বদিউজ্জামানের পুত্র ছাবের আহমদ। থাইল্যান্ড থেকে ফিরে আসারা জানান, তারা দালালচক্রের খপ্পরে পড়ে পাচারের শিকার হয় এবং সাগর পথে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার পথে গহীন সমুদ্রে তাদের অনেক সহযাত্রীকে চোখের সামনে সাগরে নিক্ষেপ, অনাহারে ও অসুস্থতায় মৃত্যুবরণ করতে দেখেছে। যার চিত্র চোখের সামনে ভেসে উঠলে এখনো ঘুম আসে না। নাড়ি ছেড়া এ ধনদের অবশেষে সরকারের সহায়তায় ফিরে পেয়ে খুশিতে আত্মহারা স্বজনরা। তারা ফিরে আসায় প্রতিবেশী পাচার হওয়া অন্যরাও ফিরে আসবে এ আশায় বুক বেঁধেছে স্বজনরা।