
শেখ যায়েদ সড়ক, এমিরেটস সড়ক ও বুর দুবাইয়ের পেছনের এলাকাসহ প্রায় ৪০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা এ প্রকল্পের আওতাভুক্ত হবে বলে জানিয়েছেন দুবাই মিউনিসিপালিটির স্যানিটেশন অ্যান্ড ইরিগেশন ডিপার্টমেন্টের পরিচালক তালিব আবদুল কারিম জুলফার। মিউনিসিপালিটির পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর জেনারেল সালেহ আমিরি জানান, দুই বিলিয়ন দিরহামের এ প্রকল্পে বৃষ্টির পানি ও ভূতলের পানি সংগ্রহ ও বিতরণের জন্য একটি গভীর টানেল নেটওয়ার্ক তৈরি করবে, যা আগামী একশ বছরের জন্য উন্নত ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা সরবরাহ করতে পারবে। আল মাখতুম বিমানবন্দরের আশপাশের এলাকাটি মাত্র গড়ে উঠছে এবং এখনো পর্যন্ত এখানে কোনো পাইপলাইন নেটওয়ার্কও নেই। ভবিষ্যতের মহাগুরুত্বপূর্ণ এলাকা হিসেবে এই এলাকায় উচ্চ সক্ষমতাসম্পন্ন ড্রেনেজ ব্যবস্থা কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। জুলফার বলেন, ‘পরিকল্পিত ব্যবস্থায় প্রতি সেকেন্ডে ৬৫ কিউবিক টন পানি ও প্রতি মিনিটে ৩৯০০ কিউবিক টন পানি ব্যবস্থাপনা করা যাবে, যা অলিম্পিক-সাইজ সুইমিং পুলের একশ গুণ বেশি। ফলে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতে এ এলাকার উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ ব্যাহত হওয়া প্রতিরোধে সক্ষম হবে এ ব্যবস্থা’। সারা আমিরাতে এই ব্যবস্থা চালু করা হবে কি না এই প্রশ্নে হুলফার বলেন, ‘এটা খুবই ব্যয়বহুল প্রকল্প। তাছাড়া এসব এলাকায় এখনো পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা নেই’। এই প্রকল্পের অংশ হিসেবে পুরো প্রদেশের পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থাও সংস্কার করা হবে। নির্মাণ সংক্রান্ত ক্ষয়ক্ষতি কমানোর লক্ষ্যে অত্যাধুনিক টানেল টেকনোলজির সাহায্য নেয়া হবে। ২০১৬ সালের শুরুর দিকে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।