বার্তা পরিবেশক :
পাহাড় কাটা, নালা নর্দমা, খাল, ছড়া দখল করে স্থাপনা নির্মাণ, ক্রমান্বয়ে বাঁকখালী নদী দখল ও খনন না হওয়ায় কক্সবাজার শহরে জলাবদ্ধতা প্রকট আকার ধারণ করেছে। এতে করে কক্সবাজারে বসবাস অযোগ্য হয়ে পড়েছে এবং অস্বাস্থ্যকর ও শ্রীহীন হয়ে পড়েছে পর্যটন শহর। তাই জরুরী ভাবে এ সমস্যার সমধান করতে হবে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসন, সংস্থা, প্রতিষ্ঠানের কার্যকর ভুমিকার পাশাপাশি সচেতন পৌরবাসীকে দলমত উর্ধ্বে রেখে এগিয়ে আসতে হবে। কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদ আয়োজিত জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত “কক্সবাজার শহরে জলাবদ্ধতা, আমাদের করণীয়” শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা একথা বলেছেন। ৯ জুলাই দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোঃ আলী হোসেন। এ বৈঠকে কক্সবাজার শহরকে জলাবদ্ধতা মুক্ত ও পরিবেশ সংরক্ষণকল্পে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ হাবিবুর রহমান হাকিমকে আহবায়ক করে একটি কার্যকর কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর, সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকৌশলী, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী, কক্সবাজার পৌরসভার সার্ভেয়ার, জেলা প্রশাসনের সার্ভেয়ার, পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক, রাজনীতিক নজরুল ইসলাম চৌধুরী, সাংবাদিক ফজলুল কাদের চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার বদিউল আলম, সাংবাদিক মুহাম্মদ আলী জিন্নাত, মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান, সাংবাদিক দীপক শর্মা দীপু ও কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের প্রতিনিধি মোহাম্মদ উর রহমান মাসুদ। উক্ত বৈঠকে বাঁকখালী নদীতে পানি নিষ্কাশনের সংযোগ প্রধান ১টি ছরা, ৩টি নালা ও ১টি খাল দিয়ে পানি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির কারণ সমূহ উল্লেখ করা হয়। শহর রক্ষা বাঁধের ৩টি স্লুইচ গেইট কার্যকর করা, শহরের ১২টি নালার উপর স্থাপনা, দখলের বিষয়ে আলোকপাত করা হয়। আর যাদের কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়। পাহাড় কাটা বন্ধে সম্মিলিতভাবে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবী জানানো হয়। আগামি ১৫দিনের মধ্যে সমস্যা সমাধানের জন্য কার্যকর ভুমিকা রাখতে গঠিত কমিটিকে জোর দেয়া হয়। উক্ত গোলটেবিল বৈঠকে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক (উপ-সচিব) ড. আবুল ফয়েজ মো আলাউদ্দিন খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) হাবিবুর রহমান হাকিম , রাজনীতিক নজরুল ইসলাম চৌধুরী, কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র সরওয়ার কামাল, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জি.এম. রহিম উল্লাহ, সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রানা প্রিয় বড়–য়া, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম, পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সরদার শরীফুল ইসলাম, দক্ষিণ বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক রেজাউল করিম, সাংবাদিক প্রিয়তোষ পাল পিন্টু, সাংবাদিক ফজলুল কাদের চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান, ইঞ্জিনিয়ার বদিউল আলম, ইঞ্জিনিয়ার কানন পাল, কক্সবাজার বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী খোকা, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আয়াছুর রহমান, সাংবাদিক মুহাম্মদ আলী জিন্নাত, সাংবাদিক জাহেদ সরওয়ার সোহেল, সাংবাদিক মমতাজ উদ্দিন বাহারী, সাংবাদিক ইকরাম চৌধুরী টিপু, দৈনিক সমুদ্র কণ্ঠের সম্পাদক মইনুল হাসান পলাশ, দৈনিক বাঁকখালীর সম্পাদক সাইফুল ইসলাম চৌধুরী, সাংবাদিক হাসানুর রশিদ, সাংবাদিক রাসেল চৌধুরী, কক্সবাজার রেড ক্রিসেন্টের সাধারণ সম্পাদক আবু হেনা মোস্তফা কামাল, এস্তাফিজুর রহমান, হোটেল মোটেল জোন মালিক সমিতির সহ-সভাপতি নুরুল আফছার, কক্সবাজার দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মোস্তাক আহমদ, পৌরসভার কাউন্সিলর যথাক্রমে-সিরাজুল হক, মাহবুবুর রহমান, আশরাফুল হুদা সিদ্দিকী জামশেদ, আকতার কামাল, সালামত উল্লাহ বাবুল, মঞ্জুমন নাহার বেগম, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিত পাল বিশু, কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহবাযক চঞ্চল দাশ গুপ্ত, সুজনের কক্সবাজার জেলা সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, সাংবাদিক আহসান সুমন, সাংবাদিক শহিদুল্লাহ কায়সার, সাংবাদিক কামরুল ইসলাম মিন্টু। কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি দীপক শর্মা দীপুর সঞ্চালনায় সদস্য সচিব মোহাম্মদ মহিউদ্দিন মহির উপস্থাপনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন আহবায়ক মোহাম্মদ উর রহমান মাসুদ ও প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন মুজিবুল হক মুজিব। উল্লেখ্য গঠিত কমিটির সভা ১১ জুলাই শনিবার সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।