রবিবার , ২৬ জুলাই ২০১৫ | ৮ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আরো
  6. ইসলাম
  7. এক্সক্লুসিভ
  8. কক্সবাজার
  9. করোনাভাইরাস
  10. খেলাধুলা
  11. জাতীয়
  12. জেলা-উপজেলা
  13. পর্যটন
  14. প্রবাস
  15. বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি

কক্সবাজার সৈকতে একাধিক ছিনতাইকারি গ্রুপ

প্রতিবেদক
কক্সবাজার আলো
জুলাই ২৬, ২০১৫ ৯:২০ অপরাহ্ণ

নয়াদিগন্ত অনলাইন :
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় গড়ে উঠেছে একাধিক ছিনতাইকারি গ্রুপ। ইয়াবা পাচার সংশ্লিষ্ট হোটেল মোটেলে মাদক ও নারী সরবরাহসহ এমন কোন অপরাাধ নেই যে এখন তারা করছে না। শুধু তাই নয়,এসব ছিনতাইকারি দলে পেশাদার খুনিও রয়েছে। বিভিন্ন হোটেলে রহস্যজনক হত্যার সাথেও এদেও সম্পৃক্ততা রয়েছে। রাজনৈতিক আশ্রিত থাকায় তারা এতই বেপরোয়া যে বর্তমানে কেউ তাদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পায় না। ভেতরে ভেতরে পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়ে উঠেছে যে পুলিশও এখন নিরাপদে নেই। আবার এসব ছিনতাইকারি গ্রুপের সাথে সৈকতে দায়িত্বরত টুরিস্ট পুলিশের কিছু অসাধু সদস্যের সাথে সখ্যতারও অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার পুলিশের কনস্টেবল পারভেজ হোসেন ছিনতাইকারির ছুরিকাঘাতে প্রাণ হারানোর পর এসব বিষয় বারবার আলোচনায় উঠে আসছে। বিষয়টি নিয়ে ভাবিয়ে তুলেছে পুলিশের উর্ধ্বতন মহলসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে। সংশ্লিষ্ট সকলের প্রশ্ন,পুলিশ যেখানে ছিনতাইকারির হাতে নিহত,সেখানে পর্যটকদের নিরাপত্তা কোথায়? হোটেল মোটেল ও গেষ্ট হাউস মালিক সমিতির এক নেতা বলেন,এসব চিহ্নিত অপরাধি সম্পর্কে পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কোন অ্যাকশন হয়না। ফলে ভয়ে কেউ তাদের বিরুদ্ধে টু শব্দ করে না। কয়েকবছর আগেও ছিনতাইকারীরা এতো বেপরোয়া ছিলনা। কতিপয় অসাধু কটেজ মালিক ও গেষ্ট হাউস তাদের আস্তানা। তবে কক্সবাজার শহরের ঘোনারপাড়া,মোহাজেরপাড়া,বাদশাঘোনা,লাইটহাউস পাড়া,সাহিত্যিকা পল্লীসহ কয়েকটি এলাকা হচ্ছে তাদের মূল আস্তানা। এসব এলাকায় তারা রাজনৈতিক নেতা কর্মী হিসেবে পরিচিত। ছিনতাইকারীরা তাদের অভিভাবকদের কাছে সৈকতে ভ্রাম্যমান ক্ষুদ্র ব্যবসায়ি। এসব কিছুর আড়ালে তারা কক্সবাজার সৈকতের পর্যটনকেন্দ্রীক এলাকাগুলোতে করে ছিনতাইসহ নানা অপকর্ম। প্রাপ্ত তথ্য মতে কক্সবাজার সৈকতে আগে পর্যটক স্পট ছিল শুধু লাবণি পয়েন্ট। বর্তমানে ইনানী বীচ পর্যন্ত অনেক স্পটে পর্যটকরা আনাগোনা করে। এছাড়া সাফারী পার্ক,সেন্টমার্টিন,মহেশখালী সোনাদিয়াসহ অসংখ্য স্পটে ঘুরে যাচ্ছে পর্যটকরা। শীত মওসুম শুধু নয়,বর্ষায় এখন ব্যাপকহারে দেশিয় পর্যটকরা ছুটে আসছেন। এমতাবস্থায় টুরিস্ট পুলিশের দেড়শ’সদস্য তাদের নিরাপত্তা দিতে হিমশিম খাচ্ছে। নাম প্রকাশ করা হবেনা এমন শর্তে পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন,আধুনিক সবযন্ত্রপাতি সমৃদ্ধ করে টুরিস্ট পুলিশকে আরও সমৃদ্ধ করতে হবে। পুলিশের কোন কোন সদস্যের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ সর্ম্পকে তিনি বলেন,‘বিষয়টি খুবই উদ্বেগজনক,সৈকতে ছিনতাইকারিদের সাথে সংশ্লিষ্টার অভিযোগ পুলিশ ভালভাবে খতিয়ে দেখছে। ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের নেতা এসএম কিবরিয়া খানের মতে,পর্যটকদের নিরাপত্তার কাজটি আগে সাধারণ পুলিশ বিভাগে ছিল, পরে অধিকতর নিরাপত্তার জন্য গঠিত হয় ট্যুরিস্ট পুলিশ। তাই টুরিস্ট পুলিশকে এখন পর্যটকদের কাছে নিরাপত্তার আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। সৈকতে একাধিক ব্যবসায়ি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান,ছিনতাইকারিরা রাজনৈতিক আশ্রিত এবং পুলিশ তাদের চিনে। সদিচ্ছা থাকলে এসব ছিনতাইকারি নির্মুল করা পুলিশের পক্ষে কয়েক ঘন্টার কাজ। হোটেল মোটেল গেষ্ট হাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার জানান,পরিস্থিতি ভেতরে ভেতরে কতখানি ভয়াবহ হয়েছে তা ছিনতাইকারীর হাতে পুলিশ সদস্য নিহত হওয়ার মাধ্যমে কিছুটা অনুমান করা যাচ্ছে। তিনি বলেন এই ঘটনা বিদেশি পর্যটকদের কাছে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই কেন পুলিশ ছিনতাইকারির হাতে প্রাণ দিল কেনইবা পরিস্থিতি এরকম হলো তা পর্যটন শিল্পের বিকাশের স্বার্থে তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া দরকার। সৈকতে গোসলরত বিপদাপন্ন পর্যটকদের উদ্ধারকারি দলের নেতা মোহাম্মদ রাশেদ এর মতে,সৈকতে ভ্রমন নিরাপদ ও নির্বিঘœ করতে হলে আগে ইয়াবাসহ সব মাদক ঠেকাতে হবে কারণ ছিনতাইকারিরা এ সবের সাথে জড়িত। পর্যটন ব্যবসায়িরা জানান,ছিনতাইকারির হাতে একজন পুলিশ সদস্যের নিহত হওয়ার এই দুঃখজনক ঘটনার পুনরাবৃত্তি আর দেখতে চাই না। কোন কোন গেষ্ট হাউস ও কটেজে অপকর্ম চলে এবং কারা ছিনতাইকারী সেই তথ্য পুলিশের রয়েছে।

সর্বশেষ - কক্সবাজার

https://coxsbazaralo.com/