কক্সবাজার আলো :
ঘূর্ণিঝড় কোমেনের প্রভাবে সাগরের পানি বাড়ছে। এতে উপকূলের নিচু এলাকায় পানি ঢুকে পড়ছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯ থেকে বাড়ছে বলে জানিয়েছেন উপকূলের লোকজন। ১১ টা পর্যন্ত এ পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় উপকূলে ২-৩ ফুট পানি বেড়েছে। ঘূর্ণিঝড় ও পূর্ণিমার জোয়ারের কারণে পানি বেড়েছে বলে কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় কোমেনের প্রভাবে সকাল সাড়ে ৯ টা পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ ফুট বেড়েছে। এতে করে কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকা কুতুবদিয়ার সবকটি ইউনিয়নের নিচু এলাকা, মহেশখালীর ধলঘাটা, মাতারবাড়ি, কুতুবজোমের ঘটিভাঙ্গা, তাজিয়াকাটা, শাপলাপুরের জেমঘাট, কক্সবাজার শহরের সমিতিপাড়া এবং টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ, সেন্টমার্টিনসহ পেকুয়ার বেশ কিছু এলাকায় পানি ঢুকে পড়েছে।
এতে ওই্সব এলাকা লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। প্রশাসনের নির্দেশনা থাকলেও তারা এতক্ষণ নিরাপদে সরে যায়নি। কিন্তু পানি বাড়লে প্রাণভয়ে পরিবার নিয়ে ছুটে চলছে নিরাপদ আশ্রয়ে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়ায় লোকজনকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।
আবহাওয়া বিভাগের বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় কোমেন দুপুর নাগাদ চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৫ কি. মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৮০ কি.মি. পশ্চিম-উত্তরপশ্চিমে অবস্থান করছিল।
ঘূর্ণিঝড়টি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে বৃহস্পতিবার দুপুর/বিকাল নাগাদ বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া অব্যাহত রয়েছে।
জোয়ার পূর্ণ হলে পানি আরো ১ থেকে দেড় ফুট বাড়তে পারে।
ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক ড. অনুপম সাহা জানিয়েছেন, নির্দেশ দেয়ার পরও যারা নিরাপদে সরে যাচ্ছে না তদেরকে জোর করে সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।