এ.এম হোবাইব সজীব : কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্কের উত্তরে গড়ে তোলা বাউন্ডারী ওয়ালটি নির্মাণের ২ মাসের মাথায় ভেঙ্গে মাটির সাথে মিশে গেছে। ভেঙ্গে খান খান হয়ে গেছে গত বছরের দক্ষিণে নিমার্ণ করা ড্রেইনটিও ।
জানা যায়, চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্কের বন্য প্রাণীর নিরাপত্তার জন্য ২০১৩-২০১৪ ও ২০১৪-২০১৫ অর্থ বছরের বাউন্ডারী ওয়াল, ড্রেইন, পাখিশালা, অভ্যন্তরীণ চলাচলের রাস্তা পুকুর খনন ল্যাব সংস্কার কালভার্ট, ক্যান্টিন, ল্যাট্রিন, কর্মচারীদের থাকার বাসস্থানসহ বিভিন্ন কিছু নিমার্ণের জন্য কয়েক দফায় ২৭ কোটি টাকা বরাদ্ধ দেয়। চট্টগ্রামের গিয়াস উদ্দিন, চকরিয়ার লিটন, ডুলাহাজারার নাজমুল হক চৌধুরী পিয়ারু, উজ্জল চৌধুরী ও নুর বক্স, উক্ত কাজের টেন্ডার পেয়ে কাজ শুরু করে। কিন্তু ঠিকাদার পিয়ারু ও উজ্জলের নিমার্ণ কাজ নিয়ে এলাকাবাসী বার বার প্রতিবাদ করে আসছিল। সাফ কথা গত ২০১৩-২০১৪ অর্থ বছরের গড়া সাফারী পার্কের দক্ষিণে ড্রেইন নির্মাণ করে উজ্জল চৌধুরী। গত বছর বর্ষার মৌসুমে উক্ত ড্রেইনটি বৃষ্টির পানিতে ভেঙ্গে খান্খান্ হয়ে যায়। গত বছর উক্ত ড্রেইনটি সামান্য সিমেন্ট এর লেপদিয়ে মেরামত করে দেয়। অপরদিকে চলতি ২০১৪-২০১৫ অর্থ বছরে গত ২মাস পূর্বে সাফারী পার্কের উত্তর পাশে বাউন্ডারী ওয়াল নিমার্ণ করে ঠিকাদার পিয়ারু। উক্ত বাউন্ডারী ওয়াল নিমার্ণের ২ মাসের মাথায় বৃস্টির পানিতে দীর্ঘতম একটি বাউন্ডারী ওয়াল ভেঙ্গে মাটির সাথে মিশে গেছে। অপরদিকে দক্ষিণ ও পূর্ব পাশের ড্রেইনটিও ভেঙ্গে খান্খান্ গেছে। এদিকে সাফারী পার্কের রেঞ্জ কর্মকর্তা নুরুল হুদার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান উজ্জলের ড্রেইনের নির্মাণ কাজের ১০ লাখ টাকা সিকিউরিটি টাকা জমা রয়েছে। ভেঙ্গে যাওয়া ড্রেইনটি পুনরায় মেরামত করে না দেয়া পর্যন্ত বিলটি বন্ধ রাখা হবে। অপরদিকে ঠিকাদার পিয়ারুর ফাইনাল বিলটি এখনোও হয়নি। ভেঙ্গে যাওয়া ওয়ালটি পুনরায় নিমার্ণ করে না দেয়া পর্যন্ত ফাইনাল বিল বন্ধ রাখা হবে।