আবুল কালাম আজাদ, টেকনাফ :
ইদানিং টেকনাফ উপজেলার ইয়াবার দক্ষিনের হাটবাজার উত্তরে হ্নীলা ও হোয়াইক্যংয়ে অবস্থান করেছে। কোন ঝোপ জামেলা ছাড়ায় অনায়সে ইয়াবা পাচার করছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। খোজঁ নিয়ে জানা যায়, অতীতের ইয়াবা পাড়া নামে খ্যাত নাজির পাড়া, মৌলভী পাড়া ও হাবিব পাড়াকে হার মানিয়ে হ্নীলাৈ ও হোয়াইক্যংয়ে এ ইয়াবা বাজার দখল করেছে। দিবা রাত্রি সমান তালে চলেছে ইয়াবার রমরমা ব্যবসা। এক সময় যারা পাহাড়ের লাকড়ি কেটেঁ, লবণের মাঠে কাজ করে ও চিংড়ি ঘেরে নৈশ প্রহরীর কাজ করে সংসারের জীবিকা নির্বাহ করত বর্তমানে তারা ইয়াবা পাচার ও ব্যবসা করে কোটি টাকার মালিক বনে গেছে। এখন তারা গাড়ী-বাড়ি ও নারীর মালিক। বিশেষ করে হ্নীলার ফুলের ডেইল, জাদীমুরা, লেদা, আলী খালী, চৌধুরী পাড়া, খারাংখালী, কানজর পাড়া, উনছিপ্রাং ও হোয়াইক্যং সদর দিয়ে ইয়াবার বড় বড় চালান মিয়ানমার হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। ফলে তারা দমদমিয়া বিজিবির চেক পোষ্ট ক্রস ছাড়ায় মালামাল গুলো দেশের অভ্যান্তরের চালান দিতে কোন বেগ পেতে হচ্ছেনা। সূত্রে জানা যায়, বিশেষ করে বাংলাদেশের জাদীমুরা ও মিয়ানমারের লালদিয়া দিয়ে ইয়াবার বড় বড় চালান বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। নাফনদীতে মাছ ধরার নাম করে এক শ্রেণীর বাংলাদেশী জেলে এ কাজ চালিয়ে আসছে বলে জানা যায়। স্থানীয় লোকজন জানায়, কতিপয় বাংলাদেশী জেলে মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষী বিজিপির সাথে মাসিক সাপ্তাহিক চুক্তিতে মিয়ানমারের জল সীমানায় মাছ ধরে। উদ্দেশ্য ইয়াবার চালান বাংলাদেশী জেলেদের নিকট হস্তান্তর করা। মিয়ানমারের ইয়াবা ডিলার ও বাংলাদেশী ইয়াবা ডিলারগণ চুক্তি করে যে, জেলেদের মাধ্যমে ইয়াবা পাচার করার জন্য। এতে কোন ঝামেলা পোহাতে হয়না। ইদানিং জেলেরায় ইয়াবার চালান বাংলাদেশে নিয়ে আসচেছ। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষী বিজিবি ও কোষ্টগার্ড সজাগ দৃষ্টি রাখলে ইয়াবা প্রবেশ বন্ধ করা সময়ের ব্যাপার বলে স্থানীয় লোকজন জানায়।