সীমান্ত উপজেলা টেকনাফে ও শুরু হয়েছে পবিত্র ঈদের কেনা কাটা। কিন্তু সাধারণ লোকজন অসহায় হয়ে পড়েছে। টেকনাফে বিভিন্ন নামীদামী মার্কেট ও শোরুম পরিদর্শন কের দেখা যায়, সাধারণ লোকজনের কোন উপস্থিতি চোখে পড়েনি। যা দেখা যাচ্ছে এদের সিংহভাগই ইয়াবার সাথে সম্পৃক্ত লোক জন বলে স্থানীয়রা জানায়। এদিকে স্থানীয় লোকজনদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এখনো পর্যন্ত তারা ঈদের কেনা কাটা করার চিন্তাভাবনা করেনি। কারণ তাদের হাতে এখনো মার্কেটিং করার মত অর্থ আসেনি। কেন না চলতি মাস হচ্ছে বর্ষাকাল। এ সময়ে সাগরে মাছ ধরা যায়না। অপরদিকে পানের মৌসুম চললেও দাম অত্যান্ত কম। এ ছাড়া এখনো গাছে সুপারি পাকেনি। সুতারাং টেকনাফের সাধারণ লোকজনদের কাছে বর্তমান মৌসুমে আর্থিক ভাবে খুবই সংকটে। ফলে অনেকই খুবই সাধারণ ভাবে ঈদ উদযাপন করবে। যে সমস্ত লোকজন নামি দামি মার্কেটে দেখা যাচ্ছে এদের বেশীরভাগই ইয়াবা ও মানবপাচারের সাথে জড়িত লোকজন। এদিকে বর্তমান মৌসুমে বিশেষ করে টেকনাফ পৌরসভায় খুবই নামীদামী আলিশান মার্কেট চালু হয়েছে। উক্ত মার্কেট সমূহে যে মূল্যবান পন্য নিয়ে দোকান সাজিয়েছে তা সাধারণ লোকজন ক্রয় করা কঠিন হয়ে পড়েছে বলে সাধারণ লোকজন জানান। হত দরিদ্র লোকজন জানায়, টেকনাফের মার্কেট সমূহে সাধারণ লোকজনের কেনা কাটার কোন সুযোগ নেই। দোকানিরা দেখাতেও চাই না, অথচ ইয়াবা ব্যবসায়ী ও মানবপাচারকারী লোকজন আসলেই আদর আপ্যায়ন ও সমাদর করে দোকানে বসিয়ে নামীদামী পোশাক বিক্রয় করতে দেখা যায়। এর কারণ জানতে চাইলে দোকানদারেরা জানান সাধারণ লোকজনদেরকে কোন পোষাক বিক্রয় করার জন্য দাম বললেই দর দাম করে। এতে আমাদের সময় যেমনি ব্যয় হয় তেমনি গ্রাহকেরাও চলে যায়। অথচ ইয়াবা ও মানবপাচারের সাথে সম্পৃক্ত লোকজন দাম বলার সাথে সাথে কোন ওজর আপত্তি ছাড়ায় টাকা দিয়ে পোশাক নিয়ে যায়। এতে আমাদের প্রচুর লাভ হয়। এ কারণে এলাকার লোকজন নি¤ বিত্ত থেকে আরম্ব করে উচ্চ মহল পর্যন্ত সহজে কেনা কাটা করতে পারে তার ব্যবস্থাকরণে আইন প্রয়োগকারীর সংস্থার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।