বৃহস্পতিবার , ২ জুলাই ২০১৫ | ৮ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আরো
  6. ইসলাম
  7. এক্সক্লুসিভ
  8. কক্সবাজার
  9. করোনাভাইরাস
  10. খেলাধুলা
  11. জাতীয়
  12. জেলা-উপজেলা
  13. পর্যটন
  14. প্রবাস
  15. বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি

টেকনাফে বিক্রি হচ্ছে বিষাক্ত রঙের ইফতার সামগ্রী

প্রতিবেদক
কক্সবাজার আলো
জুলাই ২, ২০১৫ ৮:৩০ অপরাহ্ণ

1_15139সাইফুদ্দীন মোহাম্মদ মামুন,টেকনাফ :
টেকনাফ উপজেলার অধিকাংশ হোটেল রেস্তোরায় রমজানের প্রথম দিন থেকেই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ইফতারের খাদ্যদ্রব্য। এ সকল খাদ্যকে আকষর্ণীয় করে ক্রেতার কাছে বিক্রয় করার জন্য মেশানো হচ্ছে বিষাক্ত রাসায়নিক রং। অন্যদিকে যে মুড়িকে ছাড়া ইফতার কল্পনা করা যায় না সে মুড়ি আকারে বড় ও সাদা করতে ব্যবহৃত হচ্ছে ট্যানারির বিষাক্ত রাসায়নিক সোডিয়াম হাইড্রো সালফাইড। অথচ এ রাসায়নিক পদার্থটি কাপড়ের মিলে সাদা রং এ ব্যবহৃত হয়! ক্রেতাদের আকর্ষণ করতে এ ভেজাল মুড়িই বাজারে বিক্রি করছে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, এসব ইফতার সামগ্রী পেঁয়াজু, বেগুনি, ছোলা, হালিম, চপ, জিলাপি, খেজুর, এমনকি মুড়িতেও কোনো না কোনোভাবে ভেজাল সামগ্রী ব্যবহৃত হচ্ছে। এ খাবারে উপস্থিত ক্ষতিকর কার্সিনোজেনিক রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহারের ফলে ডায়রিয়া, আমাশয়সহ স্বল্পমেয়াদী রোগে আক্রান্ত হতে পারে মানুষ। যা শরীরে প্রবেশ করে সৃষ্টি করছে রোগ, তাছাড়া বিষ ক্রিয়াসহ লিভার ও অন্ত্রে প্রদাহ এমনকি মরণব্যাধি ক্যান্সারও হচ্ছে। পাশাপাশী, মিষ্টি জাতীয় দ্রব্য তৈরিতেও ব্যবহৃত হচ্ছে ভেজাল চিনি। এর রাসায়নিক নাম সোডিয়াম সাইক্লামেট। আর মিষ্টি জাতীয় দ্রব্যকে অধিকতর মিষ্টি করতে ব্যবহৃত হচ্ছে স্যাকারিন, সুকরালেস ইত্যাদি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলা প্রশাসনের কয়েকজন কর্মকরতা বলেন, শুধুমাত্র মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ভেজাল বিরোধী অভিযানে সফলতা আসবে না। কারণ দিন-রাত মনিটরিং করা সম্ভব নয়। এজন্য ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ আছেন, বাজার কমিটি আছে, পেশাজীবীরা আছেন। সকলে যদি যার যার অবস্থান থেকে সঠিক কাজটি করে তাহলে কিছু একটা হতে পারে। রমজান ও ঈদকে সামনে রেখে একটি অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট তৎপর হয়ে উঠেছে। তারা অল্প সময়ে অধিক মুনাফা লাভের আশায় দিনরাত ভেজাল ও নকল পণ্য উৎপাদন করছে। নামিদামী আর জনপ্রিয় কো¤পানির প্যাকেট ও লোগো নকল করে বাজারজাত করা হচ্ছে নকল পণ্য। বিএসটিআইয়ের অনুমোদন না নিয়েই অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে তৈরি করা হচ্ছে এসব ভোগ্যপণ্য। তবে ভুক্তভোগীদের মন্তব্য, রমজানে কেনাকাটায় সাধারণ মানুষ বেশিরভাগ সময় খুব বেশি দর কষাকষি করেন না। এ সুযোগে অসাধু ব্যবসায়ীরা নকল পণ্য বিক্রি করে তাদের পকেট ভারী করেন। এই ব্যাপারে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, আমরা নিয়মিত ভেজাল পণ্যের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করি। রমজানকে সামনে রেখে একটি গ্রুপ বিভিন্ন ভেজাল খাবার তৈরিতে তৎপর হয়ে উঠেছে। ভেজাল খাবার উৎপাদনের খবর পাওয়ার সাথে সাথে অভিযান চালানো হবে।

সর্বশেষ - কক্সবাজার

https://coxsbazaralo.com/