মোঃ আশেক উল্লাহ ফারুকী, টেকনাফ :
টেকনাফ সীমান্তে ব্যাঙের ছাতার ন্যায় গড়ে উঠেছে মোবাইল ব্যাংকিং (বিকাশ) প্রতিষ্ঠান। এসব বিকাশ প্রতিষ্ঠানের সরকারী নজরদারী না থাকার কারণে এরা বেপরওয়া হয়ে উঠেছে। সরকারী নিয়মানুযায়ী উর্ধে ২৫ হাজার টাকার লেনদেন করার নিয়ম থাকলে ও এরা একাদিক সিম ব্যবহার করে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার চেয়ে বিশী টাকা লেনদেন করে আসছে। জরীপ চালিয়ে জানা গেছে, টেকনাফ সীমান্তের প্রায় মোবাইল ব্যাংকিং (বিকাশ) প্রতিষ্ঠান ইয়াবা ও প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের আরাকানের উপর নির্ভরশীল। কেননা বিকাশের মাধ্যমে প্রতিদিন কোটি কোটি টাকা লেনদেন হয়ে আসছে। এছাড়া মিয়ানমার থেকে বাকিতে আসা ইয়াবা এবং মধ্যপ্রাচ্যে রোহিঙ্গা প্রবাসীদের পাঠানো হুন্ডির টাকা। টেকনাফ থেকে বিকাশের মাধ্যমে সেদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে। ইতিপূর্বে ইয়াবার টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন হতো। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক কড়াকাড়ী আরোফ করায় এসব কালো টাকা স্থানীয় মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশের মাধ্যমে লেদেন করে আসছে। বিজিবি সংলিষ্ট একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, ইয়াবার বিপরীত প্রতি মাসে ৫০ কোটি টাকার চেয়ে বেশী বাংলা টাকা বিকাশের মাধ্যমে মিয়ানমারে পাচার হয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের একই মোবাইল ও সিম মিয়ানমারে ব্যবহার হচ্ছে। এসব মোবাইল ও সিম টেকনাফ মোবাইল প্রতিষ্ঠান মিয়ানমারে পাচার করে দিচ্ছে। টেকনাফ পৌর শহরে যত্রতত্র মোবাইল প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। উদ্দেশ্যে বেশীর ভাগ মিয়ানমারে পাচার করা। মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশ প্রতিষ্ঠান টাকা লেনদেন করার জন্য রেজিষ্ঠার ব্যবহার করার নিয়ম থাকলে ও এ নিয়ম তারা মানেননা কোন মতে। মধ্যে প্রাচ্যে রোহিঙ্গা প্রবাসীদের পাঠানো টাকা প্রথমে টেকনাফ হুন্ডির মাধ্যমে চলে আসে। পরে এসব টাকা বিকাশের মাধ্যমে মিয়ানমারে চলে যায়। এছাড়াও দেশে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা ইয়াবার বেশীরভাগ টাকা বিকাশের মাধ্যমে লেনদেন হয়ে থাকে। এটি রোধ করতে হলে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা প্রয়োজন। নচেৎ ইয়াবা ব্যবসা রোধ করা যাবেনা বলে অভিজ্ঞমহলের অভিমত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক টেকনাফের কয়েকজন মোবাইল ব্যবসায়ী ও বিকাশ প্রতিষ্ঠানের মালিক অডেল সম্পদের মালিক বনে গেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।