এফ এম সুমন,পেকুয়ার বন্যা দুর্গত এলাকা ঘুরে :
সম্প্রতি কক্সবাজারের পেকুয়ায় টানা বর্ষন,পাহাড়ি ঢল ও বেড়িবাঁধ ভেঙে স্মরণ কালের সর্বনাশা বন্যা আঘাত হানে।৬-৭ ফিট জলোচ্ছাস বা কোন কোন জায়গায় তারও অধিক জলোচ্ছাস ভাসিয়ে নিয়ে যায় নিয়ে যায় ঘরবাড়ি।মানুষ হয় সর্বহারা।স্কুল,কলেজ মাদ্রাসা ও এক তৃতীয়াংশ ঘরবাড়ি ভেঙে মাটির নিচে চাপা পড়ে।কোটি টাকার মাছের ঘের পানিতে একাকার হয়ে যায়।সর্বোপরি ১৯৯৯ সালের পর ২য় বারের মতো এই বন্যা আঘাত হানে।তবে শত কষ্টের মাঝে স্বস্তির বিষয় হলো মানুষ সচেতন ছিল,এবং ভাগ্য ক্রমে পানির গতিবেগ ও বাতাস ছিলনা যার কারনে প্রানহাণি ঘটেনি।তবে কেমন আছে?এই হতভাগা বন্যাপেড়িত মানুগুলি? খোঁজ নিতে গিয়েছি,পেকুয়ার মইয়্যাদিয়া,গোয়াখালী,দিয়া পাড়া,বক্সোচোকিদার পাড়া,পূর্ব গোয়াখালী,শেখের কিল্লা ঘোনা,হরিনা ফাড়ি, উত্তর মেহের নামা,বলির পাড়া নন্দির পাড়া,মিয়া পাড়া,সৈকত পাড়া ,সিকদার পাড়া,জালিয়া খালী,সিরাদিয়া ছড়া পাড়া সাবেক গুলদী সহ পেকুয়ার বন্যা পেড়িত অঞ্চল।শুনেছি এই মানুষ গুলির আর্তনাদ।বারবারই শুনেছি হতাশার কান্না,দেখেছি বাড়ির ওঠানে টাবু টাংগিয়ে বসবাসের চিত্র।তবে যাদের বাসায় এখনো পানি এই প্রশ্ন রাখতে,দিয়া পাড়ার এক সচেতন মানুষ আমাকে নিয়ে যায় রাস্তায় দেখি শত শত মানুষ রাস্তায় ভ্রাম্যমাণ টাবু টাংগিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।তাদের একমাত্র সম্বল ছিল তাদের বাড়িটি,কিন্তু সর্বনাশা বন্যা বাড়ি ভেঙে ফেলে।এরপর এক আশ্রয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখি কিছু মানুষ এখনো আশ্রয় কেন্দ্রে বসবাস করছে।তবে বন্যার পর ডায়রিয়া আমেশায় তাদের শেষ সম্বল গুলিই শেষ হয়ে গেছে।তবে একটা বিষয় শুনে অন্তত খুশি হয়েছি,তা হল এই বন্যা পেড়িত মানুষ গুলিকে সরকারি,বেসরকারি দল মত নির্বিশেষে কিছু মানুষ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। তবে এই সাহায্য আসলেই প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।তবে এই সামান্য সাহায্য নিয়ে তাদের ক্ষতি পোষানো হয়তো সম্ভব নয়।আরও আনন্দ পেয়েছি পেকুয়ার উত্তর পাড়ায় গিয়ে দেখা হয় পেকুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান শাফায়েত আজিজ রাজুর সাথে তিনি নিজ উদ্যোগে মটর বাইক নিয়ে মানুষের ধারে ধারে ছুটে যাচ্ছেন এবং সাধ্যমত টাকা ও বস্ত্র দিচ্ছেন।তবে মানুষ ত্রান চায়না।চায় পরিত্রান।যদি খুব তাড়াতাড়ি বেড়িবাঁধ মেরামত করা হয় তাহলে হয়তো অন্তত কিছু জায়গায় জোয়ার ভাটা বন্ধ হবে।তবে তাদের দাবি সরকার আরো বেশি এই মানুষ গুলির কথা চিন্তা করবে।এবং সমাজের বিত্তবানরা এগিয়ে আসবে। তাহলে এই বন্যা পেড়িত মানুষ গুলির মুখে ঈদের হাসি ফুটবে।