এম.এ.সাবলু হৃদয়, সিলেট :
ঈদের ছুটিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে সিলেটের পর্যটন স্পটসমূহ। ঈদের দিন বিকাল থেকে সিলেটের প্রতিটি পর্যটন স্পটে ভিড় লাগে পর্যটকদের। জাফলং, লালাখাল, রাতারগুল, বিছনাকান্দি, পান্তুমাই, মাধবকু- জলপ্রপাত, দরগাহে হযরত শাহজালাল (রঃ) মাজারের পাশাপাশি সিলেট নগরীর বিভিন্ন পার্কও হয়ে উঠে লোকারণ্য। ঈদ উপলক্ষে ভ্রমণ পিপাশুরা মেতে উঠেছে ভ্রমণ উৎসবে। কেউ পরিবার-পরিজনসহ কেউবা আবার বন্ধু-বান্ধবদের সাথে। এই ভ্রমণ উৎসবে বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকদের বাঁধ ভাঙ্গা উচ্ছাস লক্ষ করা গেছে।
ঈদের দিন থেকে সিলেটের প্রকৃতি কন্যা জাফলং,পিয়াইনের মায়াবী ঝর্ণা,পান্তুমাই র্ঝণা ধারা,সোয়াম্প ফরেস্ট রাতারগুল,বিছনাকান্দি ও মাধবকু- জলপ্রপাত পর্যটন কেন্দ্রে ঈদ পরবর্তী সময়ে সরেজমিন পরিদর্শন কালে দেখা গেছে দেশ বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে, বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ ও তরুণ-তরুণীদের বাঁধ ভাঙ্গা উচ্ছাস। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মাঝে মেঘাচ্ছন্ন আকাশ প্রতিকুল আবহাওয়ার মধ্যেও ঈদে পর্যটক আকর্ষণ বেড়েই চলছে। পর্যটকদের নিরাপত্তায় প্রস্তত রয়েছে পুলিশ ও বর্ডারগার্ড বাংলাদেশ। ভারতের মেঘালয় পাহাড় ঘেঁষা প্রকৃতির অপরূপ লীলা ভুমি প্রকৃতি কন্যা জাফলং, পান্তুমাই’র ঝর্ণা, বিছনাকান্দির স্বচ্ছ-সফেদ পানি আর সোয়াম ফরেস্ট খ্যাত রাতারগুল ও মাধবকু- জলপ্রপাত এক নজর দেখতে কার না মন চায়। প্রকৃতির টানে বাংলাদেশের অনেক জেলা থেকে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের পাশাপাশি উঠতি বয়সী যুবক-যুবতীরা ছুটে এসেছেন সিলেটে ঈদের ছুটি কাটাতে। তাদের বাঁধ ভাঙ্গা উচ্ছ্বাসে পর্যটন স্পটগুলোতে সৃষ্টি হয় অন্যরকম আবহের। প্রতিদিন প্রায় লাখো পর্যটকদের পদচারনায় পর্যটন এলাকা মুখরিত। মাধবকু- জলপ্রপাতের ধারা পতনের অবিরাম শব্দ সৃষ্টি করছে মায়াময় পরিবেশের। প্রকৃতি যেনো এখানে বর্ণনার উপাচার নিয়ে সামনে দাঁড়ায়। পর্যটকদের জন্য উৎকৃষ্ট পর্যটন কেন্দ্র মাধবকু- জলপ্রপাত। একসময় বাংলাদেশের পর্যটকদের কাছে প্রাকৃতিক জলপ্রপাত মানেই ছিলো মাধবকু-। এখন দেশের ভেতরে আরো অনেক জলপ্রপাতের সন্ধান মিলেছে। তবে এখনো জলপ্রপাত অনুরাগী পর্যটকদের প্রধান আকর্ষণ মাধবকু-ই। প্রতিদিন অসংখ্য পর্যটক ভিড় জমান এই ঝর্ণাধারার সৌন্দর্য উপভোগে। প্রায় ২০০ ফুট উচ্চতাবিশিষ্ট মাধবকু- জলপ্রপাতের অবস্থান মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলায়। মাধবকু- ইকোপার্ক, নয়নাভিরাম দৃশ্য, নান্দনিক পিকনিক স্পট, সুবিশাল পর্বত গিরি, শ্যামল সবুজ বনরাজি বেষ্টিত ইকোপার্ক, পাহাড়ী ঝরণার প্রবাহিত জলরাশির কল কল শব্দ, সবমিলিয়ে মাধবকু- বেড়াতে গিয়ে পাওয়া যায় এক স্বর্গীয় আমেজ। এই স্বর্গীয় আমেজের খোঁজেই ঈদের ছুটিতে দলে দলে পর্যটকরা ভিড় করেছেন মাধবকু- জলপ্রপাতে। বৃষ্টি উপেক্ষা করেই হাজারো প্রাণের মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে মাধবকু- জলপ্রপাত। বগুড়া থেকে আসা ষাটোর্ধ্ব মোহাম্মদ আলী খান জানান, জীবনের শেষ সময়ে পরিবার পরিজনদের নিয়ে জাফলং এসে খুব বেশী আনন্দ উপভোগ করছি। নওগাঁ থেকে আসা রুস্তম আলী জানান, মাধবকু- জলপ্রপাত দেখার জন্য পরিবার পরিজন নিয়ে বেড়াতে এসেছি খুব ভালো লাগছে।