স্টাফ রিপোর্টার,পেকুয়া. : পেকুয়ার ছিরাদিয়া খাসপাড়া এলাকার ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধের রক্ষনাবেক্ষনে স্প্র্যা স্থাপনের কাজ সম্পন্নের পথে। ফলে, এ প্রকল্পের কাজের ফলে, খরশ্রোতা মাতামুহুরী নদী লাগোয়া পেকুয়া সদর ইউনিয়নের অবহেলিত দূর্গম ও দরিদ্র পীড়িত লোকালয় হিসাবে পরিচিত দক্ষিণ ছিরাদিয়া খাসপাড়া এলাকার প্রায় শতাধিক বসতির লোকজন এবারের বণ্যায় বেড়িবাঁধের ভাংগন অংশ দিয়ে আক্রান্ত হওয়ার পরিবর্তে বাঁধ উপচে পড়া পানিতেই ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়। জানা যায়, সম্প্রতি স্থানীয় সমাজকর্মী মোঃ নাজিরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি পেকুয়া সদর ইউনিয়নের খরশ্রোতা মাতামুহুরী নদী লাগোয়া চির অবহেলিত দূর্গম জনপদ দক্ষিন ছিরাদিয়া খাসপাড়া এলাকার বেড়িবাঁধের ঝুকিপূর্ণ অংশে স্প্র্যা ও বালির বস্তায় বাঁধ রক্ষনাবেক্ষনে মাননীয় পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মারুফুর রশিদ খান এর মাধ্যমে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক বরাবরে আবেদন জানালে জেলা প্রশাসন বিষয়টি কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য জাপা নেতা আলহাজ¦ মুহাম্মদ ইলিয়াছ এম.পি’র দৃষ্টি গোঁচরে তুলে ধরেন। মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ¦ মুহাম্মদ ইলিয়াছ এম.পি আবেদনের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করে পেকুয়া সদর ইউনিয়নের খরশ্রোতা মাতামুহুরী নদী লাগোয়া দক্ষিণ ছিরাদিয়া খাসপাড়া এলাকার বেড়িব্ােধর বিধ্বস্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ অংশে স্প্র্যা ও বালির বস্তা বসিয়ে রক্ষনাবেক্ষনের জন্য আবেদনকারী সমাজকর্মী মোঃ নাজিরুল ইসলাম এর অনুকুলে ১লক্ষ ৮০হাজার টাকা অর্থ জরুরী বরাদ্ধ মঞ্জুর করেন। এসময় বরাদ্ধের অর্থ হাতে না পেয়েও প্রকল্পের আবেদক নাজিরুল ইসলাম লালা স্থানীয় ছিরাদিয়া সমাজ কল্যাণ সমিতির তহবিল থেকে অর্থ ধার নিয়ে উক্ত প্রকল্পের কাজ শুরু করেন। ১সপ্তাহ যাবত পরিচালিত বেড়িবাঁধে স্প্র্যা ও বালির বস্তা বসানোর কাজের এক পর্যায়ে পেকুয়ায় টানা বর্ষনের বন্যাক্রান্তের ঘঠনা ঘটে। স্থানীয়রা এম.পি’র বরাদ্ধ হাতে পাওয়ার আগেই সমাজ কল্যাণ কমিটির কাছ থেকে নেয়া ধারের টাকায় প্রকল্পের কাজ প্রায় অর্ধেক এরও বেশি সম্পন্ন করার সম্প্রতির বন্যায় দক্ষিণ ছিরাদিয়া খাসপাড়া এলাকার বেড়িবাঁধের ভাংগন কবলিত অংশ দিয়ে পাশর্^বর্তী খরশ্রোতা মাতামুহুরী নদীর ঢলের ও জোয়ারের পানি প্রবেশ করতে পারেনি। ফলে, ওই মহল্লার প্রায় দু’শতাধিক পরিবার বন্যাক্রান্তের কবল থেকে রক্ষা ও পরিত্রান পান। তবে, বেড়িবাঁধ উপচে ও পানিতে তলিয়ে যাওয়া পেকুয়ার পানি নিষ্কাসনে বিভিন্ন পয়েন্টে বেড়িবাঁধ কেটে দিতে বাধ্য হওয়ার কারণে একদিকে, প্রকল্পের বাকি সামান্য কাজ যেমন সম্পন্ন করা যায়নি তেমনি বন্যাক্রান্ত পেকুয়ার পরিণতি বরণ করতে হয় চির অবহেলিত দূর্গম ছিরাদিয়াবাসীকেও। এদিকে, গতকাল ৮জুলাই বুধবার এ প্রতিবেদক ছিরাদিয়ার প্রকল্পের কাজ এলাকা সরোজমিন পরিদর্শনে গেলে স্থানীয় ছিরাদিয়া সমাজ কল্যাণ সমিতির মোঃ আলী আকবর, জয়নাল, নুরুল আবছার সহ আরো অনেকে জানিয়েছেন, তাদের এলাকার নিবেদীতপ্রাণ সমাজকর্মী মোঃ নাজিরুল ইসলাম লালা ইউএনও-ডি.সি’র মাধ্যমে আবেদন জানিয়ে দক্ষিণ ছিরাদিয়া খাসপাড়া এলাকার ঝুঁিকপূর্ণ বেড়িবাঁধের অংশে স্প্র্যা ও বালির বস্তা দিয়ে রক্ষনাবেক্ষনে মাননীয় সংসদ সদস্য জাপা নেতা আলহাজ¦ মুহাম্মদ ইলিয়াছ এম.পি’র জরুরী বরাদ্ধের অর্থ হাতে ছাড় পাওয়ার আগেই প্রকল্পের কাজ শুরু ও অব্যাহত রাখায় সম্প্রতির বন্যায় তাদের এলাকা ও বসতির লোকজন ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। আর এজন্য তারা মাননীয় সংসদ সদস্য জাপা নেতা আলহাজ¦ মুহাম্মদ ইলিয়াছ এম.পি ও মহানুভব জেলা প্রশাসক এবং ইউএনও মোঃ মারুফুর রশিদ খান সহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানিয়ে অভিযোগ করে বলেন, বরাদ্ধের আবেদনকারী নিজ মহল্লার কাজ বিবেচনায় স্থানীয়দের সাথে নিয়ে আন্তরিকতার সাথে প্রকল্পটির কাজ বাস্তবায়ন করে চললেও স্থানীয় একটি কু’চক্রী মহল (যারা এক সময় সাবেক রাষ্ট্রপতি পল্লী বন্ধু হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদের প্রতি জুতা নিক্ষেপের মতো জঘন্য ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার গুঞ্জন রয়েছে) নাজিরুল ইসলাম লালা ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র ও মিথ্যাচারে মাতার পাশাপাশি বরাদ্ধপ্রাপ্ত অর্থ ছাড়াতে অহেতুক বাধাগ্রস্ত করছেন। তারা অভিলম্বে সকল ষড়যন্ত্র মিথ্যাচার বন্ধের পাশাপাশি প্রকল্পের অসমাপ্ত কাজ সম্পন্নে বরাদ্ধকৃত অর্থ প্রকল্পের আবেদক মোঃ নাজিরুল ইসলাম লালার বরাবরে জরুরী ভিত্তিতে হস্তান্তরের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানান। এদিকে, নাজিরুল ইসলাম লালা জানিয়েছেন, মাননীয় কক্সবাজার জেলা প্রশাসক ও মহানুভব পেকুয়া’র ইউএনও’র সুপারিশে দক্ষিণ ছিরাদিয়া খাসপাড়া এলাকার ঝুঁিকপূর্ণ বেড়িবাঁধের অংশে স্প্র্যা ও বালির বস্তা দিয়ে রক্ষনাবেক্ষনে মাননীয় সংসদ সদস্য জাপা নেতা আলহাজ¦ মুহাম্মদ ইলিয়াছ এম.পি’র সম্মান রক্ষার্থে জরুরী বরাদ্ধের কাজ দ্রুততম সময়ের মধ্যে সম্পন্নে তিনি ও তার লোকজন দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। অন্যদিকে, ওই এলাকার মানূষ অভিলম্বে পেকুয়া সদর ইউনিয়নের কাঁটাফাঁড়ি ব্রীজের বেড়িবাঁধ থেকে গোঁয়াখালী, বিলহাচুড়া, ছিরাদিয়্ াহয়ে বাঘগুজারা হয়ে মেহেরনামার শেষ এলাকার বেড়িবাঁধ ও সড়কের দ্রুত যূগোপযোগী সংষ্কার করত এটিকে বঙ্গবন্ধু মেরিন ড্রাইভ রোড নামে নামকরনের জোর দাবী জানান। আরা এ দাবীর বাস্তবায়ন হলে পেকুয়াকে শতভাগ না হলেও ৭০-৮০ভাগ বন্যামুক্ত রাখা সম্ভব বলেও মন্তব্য করেন।