স্টাফ রিপোর্টার,পেকুয়া.
পেকুয়ায় মহিলালীগ নেত্রীর বিরুদ্ধে ত্রানের ব্যাগ আত্মসাতের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে জনমনে চাঁপা ক্ষোভ ও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। ঘটনাটি ঘঠেছে, গতপরশু ৩জুন শুক্রবার উপজেলার শিলখালী ইউনিয়ন এলাকায়। জানা যায়, উপজেলার বণ্যাদূর্গতদের জন্য জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য ওয়াসিকা আয়েশা এম.পি সমাজ কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের পক্ষ থেকে ২শত ব্যাগ ত্রান সামগ্রী প্রেরণ করেন। খবর পেয়ে পেকুয়া উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী ও উপজেলা পরিষদের সংরক্ষিত নারী সদস্য-২ মর্জিনা বেগম এমইউপি পেকুয়া ইউএনও’র কার্যালয়ে আসেন। এসময় তিনি ইউএনও’কে ক্ষমতাসীনদলের নীতিনির্ধারক নেতাদের ফোন ধরিয়ে দিয়ে মহিলা এম.পি’র বরাত দিয়ে প্রেরিত ত্রাণের উল্লেখযোগ্য পরিমানের প্যাকেট তাকে দিতে চাঁপ দেন। পরে, ইউএনও ওই নাছেড়বান্ধা মহিলালীগ নেত্রীর জোর তদবিরের চাঁপ সইতে না পেরে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের পক্ষ থেকে সরবরাহকৃত উন্নত মানের ৬০টি ত্রাণের প্যাকেট তার কাছে হস্তান্তর করেন। সংবাদটি জানাজানি হলে তার খোঁজ খবর নিতে সচেতন মহল ও সাংবাদিকরা নেমে পড়েন মাঠে। তারা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, হাতিয়ে নেয়া ৬০ত্রাণের প্যাকেটের মধ্যে মাত্র ৩টি প্যাকেট তার এলাকার নিকটাত্মীয়দের দিয়ে বাকি সব ত্রাণের প্যাকেট নিজ ঘরেই নিয়ে রেখেছেন। এ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত মহিলা লীগ নেত্রীর ব্যবহৃত মুঠোফোনে যোগাযোগ করে জানতে চাইলে ৬০প্যাকেট ত্রাণ গ্রহনের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মহিলা নেত্রী হিসাবে তার সংগঠনের ইউনিয়ন পর্যায়ের সভাপতি সম্পাদক বরাবরে বিলি করতেই ত্রাণের প্যাকেটগুলো তিনি নিয়ে যথাযথভাবেই সেগুলো বিলি বন্টন করে দিয়েছেন। কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা গেছে যে, উপজেলার ৭ইউনিয়নের মহিলা আওয়ামীলীগের দায়িত্বশীলদের কারো কাছেই তিনি ত্রাণের প্যাকেট দেননি। এদিকে, গতকাল শিলখালী ইউপি কার্যালয়ে সংবাদকর্মীরা ওই মহিলা নেত্রীর সাথে সরাসরী দেখা করে জানতে চাইলে তিনি উত্তেজিত হয়ে ব্যাঙ্গাত্মক করে বলেন, আমার সরকারের মহিলা এম.পি’র বরাদ্ধের ত্রাণের প্যাকেট সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিলি করতেই তিনি নিয়েছেন। এনিয়ে আপনারা(সাংবাদিকরা) লেখালেখি করলেও তার কিছুই হবেনা। পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মারুফুর রশিদ খাঁন ত্রানের ৬০টি প্যাকেট পেকুয়া উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী মর্জিনা বেগম এমইউপি’র গ্রহনের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।